যোগাযোগ ও রেলপথমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছে বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ)প্রতিনিধি দল।
বিজিএমইএ এর ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট নাসির উদ্দিন চৌধুরীর নেতৃত্বে সাত সদস্যের প্রতিনিধি দলটি সোমবার বিকেলে রেলভবনে মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে।
এ সময় তারা যানজট নিরসন, ফুটওভার ব্রিজ স্থাপন, চট্টগ্রামে রেলের জায়গায় বিজিএমইএ ভবনের ষষ্ঠ তলা বিইউএফটিকে (বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজি) ভাড়া দেওয়া ও ঢাকা-চট্টগ্রামগামী তূর্ণানিশীথা এক্সপ্রেস এবং ঢাকা-চট্টগ্রামগামী সুবর্ণ এক্সপ্রেস ট্রেনে বিজিএমইএর কোটা বরাদ্দের বিষয়ে মন্ত্রীর কাছে দাবি পেশ করেন।
এছাড়াও আশুলিয়া-বাইপাইল রোডকে যানজট নিরসনকল্পে ৪ লেনে উন্নীত করা, ফুটওভার ব্রিজ স্থাপন করা এবং রাস্তার দু`পাশে ড্রেনেজ ব্যবস্থা চালুকরণের প্রস্তাব দেয় বিজিএমইএ প্রতিনিধি দল।
তারা মন্ত্রীকে জানায়, গার্মেন্টস খোলা এবং ছুটির সময় অধিক সংখ্যক শ্রমিক-কর্মচারী তাড়াতাড়ি করে রাস্তা পারাপার হওয়ার চেষ্টা করায় প্রতিনিয়ত সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণহানি ঘটছে। যেহেতু ওই এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনা বেশি হয় তাই প্রতিনিধি দল মন্ত্রীকে ফুটওভার ব্রিজ স্থাপন করা ও রাস্তার দু’পাশে ড্রেনেজ ব্যবস্থা চালু করার প্রস্তাব দেয়।
মন্ত্রী এ বিষয়ে বলেন, “এ মূহুর্তে ওই রাস্তা ৪ লেনে উন্নীত করা সম্ভব নয়। ফুটওভার ব্রিজ ২টার মধ্যে ১টি করে দেবো।”
এছাড়া ড্রেনেজ ব্যবস্থা শিগগির করা হবে বলেও আশ্বাস দেন মন্ত্রী।
বিজিএমইএ এর পক্ষ থেকে ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট নাসির উদ্দিন চৌধুরী মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে ঢাকা-চট্টগ্রামগামী তূর্ণানিশীথা এক্সপ্রেস এবং ঢাকা-চট্টগ্রামগামী সুবর্ণ এক্সপ্রেস ট্রেনে বিজিএমইএর কোটা বরাদ্দের আহবান জানান। মন্ত্রী এ দাবির প্রেক্ষিতে বিষয়টি ইতিবাচকভাবে ভেবে দেখবেন বলে জানান।
বৈঠক শেষে নাসির উদ্দিন চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, “বিজিএমইএ-এর পক্ষ থেকে মন্ত্রীর কাছে আমরা যানজট নিরসন ও সড়ক দুর্ঘটনা রোধে কিছু প্রস্তাবসহ কয়েকটি দাবি উপস্থাপন করেছি। তিনি আমাদের এসব দাবি ইতিবাচকভাবে নিয়েছেন। কিছু বিষয়ে আশ্বাস দিয়েছেন।”