টানা দুই ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে সহজেই হারাল বাংলাদেশ। আর এই জয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ ঘরে তুললো টাইগাররা। আজ শুক্রবার (২২শে জানুয়ারি) মিরপুর শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বড় ব্যবধানে হারিয়েছে বাংলাদেশ।
২০১৮ সালে টানা দুবার ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে সিরিজ জিতেছিল টাইগাররা। এবার ২০২১ সালেও এক ম্যাচ হাতে রেখে ওয়ানডে সিরিজ জিতে নিয়ে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ জয়ের হ্যাটট্রিক করল তামিম ইকবালের দল। এই নিয়ে ৫ বার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ জিতল বাংলাদেশ। সর্বপ্রথম ২০০৯ সালে তাদের মাটিতে ক্যারিবিয়ানদের হোয়াইটওয়াশ করেছিল বাংলাদেশ। ২০১২-১৩ সালে ঘরের মাঠেও গেইল-স্যামুয়েলসদের বিপক্ষে ৩-২ ব্যবধানে সিরিজ জিতেছিল লাল-সবুজের দলটি।
শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ১৪৮ রান করতেই অলআউট হয়ে যায় উইন্ডিজ। ক্যারিবীয় তারুণ্যনির্ভর দলকে টানা দুই ম্যাচে ১২২ ও ১৪৮ রানে গুড়িয়ে দিয়ে ৬ ও ৭ উইকেটের জয়ে সিরিজ নিজেদের করে নেয় স্বাগতিক বাংলাদেশ।
দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪১ রান করেন রোভম্যান পাওয়েল। তার কারণেই দেড়শ’র কাছাকাছি স্কোর গড়তে সক্ষম হয় ক্যারিবীয়রা। বাংলাদেশ দলের হয়ে মিরাজ চার, মোস্তাফিজ-সাকিব দুটি করে উইকেট নেন।
সহজ টার্গেট তাড়া করতে নেমে দলীয় ৩০ রানে ফেরেন লিটন কুমার দাস। আগের ম্যাচে ৩৮ বলে ১৪ রান করা লিটন এদিনও সেই আকিল হোসেনের বাঁ-হাতি স্পিনে বিভ্রান্ত হন। সাজঘরে ফেরেন ২৪ বলে ২২ রানে।
সাকিব আল হাসানের পছন্দের পজিশন তিন নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে এদিনও সুবিধা করতে পারেননি নাজমুল হোসেন শান্ত। আগের ম্যাচে ১ রানে আকিল হোসেনের শিকার হওয়া শান্ত এদিন ফেরেন জেসন মোহাম্মদের স্পিনে। তার আগে ২৬ বলে করেন মাত্র ১৭ রান।
আগের ম্যাচে ডাউন দ্য উইকেটে খেলতে গিয়ে ৬ রানের জন্য ফিফটি মিস করেন তামিম ইকবাল। এদিন দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ফিফটির পর ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফেরেন জাতীয় দলের অধিনায়ক। তার আগে ৭৬ বলে তিন চার ও এক ছক্কায় ৫০ রান করেন দেশসেরা এ ওপেনার।
দলীয় ১০৯ রানে লিটন-শান্ত-তামিমের বিদায়ের পর দলের হাল ধরেন সাকিব-মুশফিক। চতুর্থ উইকেটে অবিচ্ছিন্ন ৪০ রানের জুটি গড়ে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন তারা। দলের ৭ উইকেটের জয়ে ৪৩ ও ৯ রান করে অপরাজিত থাকেন সাকিব-মুশফিক।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৪৩.৪ ওভার ১৪৮ অল আউট (পাওয়েল ৪১, ওটলে ২৪ বোনার ২০, আলজারি ১৭) (মিরাজ ৪/২৫, ২/১৫)
বাংলাদেশ: ১৪৯/৩ ৩৩.২ ওভার (তামিম ৫০, সাকিব ৪৩) (রেইফার ১/১৯)