আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ বলেছেন, ‘‘আমাদের দেশে ব্যবসায়ীরা নৈতিকতা সঠিকভাবে পালন করছেন, কিনা তা বিবেচনার বিষয়। তারা অনেক সময় বাজার নিয়ন্ত্রণ করেন। সিন্ডিকেট করেন। অথচ আমরা উদ্যোক্তা (ব্যবসায়ীদের) ওপর নির্ভরশীল। সমাজের চাহিদা পূরনের জন্য ব্যবসা করতে এসে মানুষকে কষ্ট দিলো তা উদ্যোগ (ব্যবসা) নয়। সমাজ ও রাষ্ট্র তা আশা করে না।’’
তিনি আরো বলেন, ‘‘ব্যবসায়ীদের অনৈতিকতা থেকে ভোক্তাদের রক্ষা করতে প্রতিযোগিতা আইন করছে সরকার। এই আইনের আওতায় অনৈতিকভাবে ব্যবসা করলে কমিশন গঠনের মাধ্যমে ব্যবসায়ীদের সাজা দেওয়ার বিধান রয়েছে।’’
সোমবার রাজধানীর সিএ ভবনে এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। দ্য ইন্সটিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউনট্যান্ট অব বাংলাদেশ (আইসিএবি) এ কর্মশালার আয়োজন করে। সংস্থাটির সাবেক সভাপতি একেএম রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে কর্মশালায় আরো বক্তব্য রাখেন ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি মাহবুবুর রহমান, আইসিএবি’র সভাপতি মো. সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।
এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করে আইসিএবি’র কাউন্সিল সদস্য মো. হুমায়ুন কবীর।
আইনমন্ত্রী বলেন, মন্ত্রী সভায় পাস হওয়া ফাইনান্সিয়াল রির্পোটিং আইন যাতে চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট আইন অথবা এর কোনো বিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক না হয়, তা দেখা হবে। চট করে এটি পাস করা হবে না।
শফিক আহমেদ বলেন, ব্যবসায়ীরা মুনাফা করবেন, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু তারপরও তাদের কিছু দায়িত্ব রয়েছে। তাদের কিছু সততা রাখতে হবে। তবেই তা ভালো উদ্যোগ হবে।
মাহবুবুর রহমান বলেন, ফাইন্যান্সিয়াল রির্পোটিং আইন ব্যবসায়ের স্বচ্ছতার জন্য জরুরি। এর মাধ্যমে একটি কমিটি গঠন করা হবে যা আর্থিক নিয়ন্ত্রক হিসেবে কার্যকর ভূমিক পালন করবে। এতে করে আর্থিক প্রতিবেদন তৈরিতে স্বচ্ছতা আসবে। জবাবদিহিতা তৈরি হবে।
তবে আইসিএবি’র সভাপতি আইনের বিরোধিতা করে বলেন, ফাইন্যান্সিয়াল রির্পোটিং আইন শুধু অযোক্তিক নয়। আর্থিক স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা এবং দক্ষতা ক্ষুন্ন করবে।
এমন যুক্তি তুলে ধরে তিনি আইনটি পুনর্বিবেচনার অনুরোধ করেন।