ঐক্যবদ্ধভাবে সব ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করতে হবে

ঐক্যবদ্ধভাবে সব ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করতে হবে

জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে সংসদ সদস্যরা বলেছেন, সব ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে উন্নয়নের ধারাবাহিকতায়, ‘৪১ সালের মধ্যে সুখী সমৃদ্ধ শোষনমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে শেখ হাসিনার হাতকে আরো শক্তিশালী করতে হবে। তারা বলেন, পরাজিত শক্তি আবারো ষড়যন্ত্র করছে। ঐক্যবদ্ধভাবে এ ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করতে হবে।

আজ বৃহস্পতিবার ছিল রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আলোচনার তৃতীয় দিন। গত ১৮ জানুয়ারি বছরের প্রথম অধিবেশনের প্রথম দিন রাষ্ট্রপতি সংসদে ভাষণ দেন। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৈঠকের শুরুতে প্রশ্ন জিজ্ঞাসা উত্তর টেবিলে উপস্থাপন ও ৭১ বিধির নোটিশের কার্যক্রম স্থগিত করা হয়।

গত ১৯ জানুয়ারি চিফ হুইপ নুর-ই-আলম চৌধুরী রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাব উত্থাপন করেন। সরকারি দলের সদস্য উপাধ্যক্ষ আবদুস শহীদ এ প্রস্তাব সমর্থন করেন।

আজ আলোচনায় অংশ নেন, সরকারি দলের বীরেন শিকদার, ইকবাল হোসেন, মো.আলী আজগর, পংকজ নাথ, বেগম খাদিজাতুল আনোয়ার, বেগম জিন্নাতুল বাকিয়া, বেগম আঞ্জুম সুলতানা সীমা,জাতীয় পার্টির রুস্তম আলী ফরাজী, নুরুল ইসলাম তালুকদার এবং বিকল্প ধারার আব্দুল মান্নান।

আলোচনায় অংশ নিয়ে সরকারি দলের সদস্যরা বলেন, ভাষণে রাষ্ট্রপতি সরকার সূচিত গত ১২ বছরের উন্নয়ন অগ্রগতিতে সাফল্যের বিস্তারিত বিবরণ তুলে ধরার পাশাপাশি উন্নত- সমৃদ্ধ দেশ গড়ার দিক-নির্দেশনাও দিয়েছেন। ভাষণে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন দর্শন তুলে ধরা হয়েছে। পাশাপাশি বৈশ্বিক মহামারি সফলভাবে মোকাবেলা করে দেশ যে আবার ঘুরে দাঁড়াচ্ছে তাও উল্লেখ করা হয় ভাষণে।

তারা বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে দেশ যে উন্নত অবস্থানে আসীন হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ ও দূরদর্শী নেতৃত্বের জন্য তা সম্ভব হয়েছে।

তারা এ পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের কৃষি, বাসস্থান, চিকিৎসা, শিক্ষা, যোগাযোগ, বিদ্যুৎ-জ্বালানি, খাদ্য ও সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিতসহ সব খাতে ব্যাপক সাফল্যের কথা তুলে ধরেন। তারা বলেন,পদ্মা সেতু, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ, কর্নফূলি বঙ্গবন্ধু ট্যানেলসহ ২৪টি মেগা প্রকল্প সাফল্যের সাথে বাস্তবায়িত হচ্ছে। এসব বাস্তবায়ন শেষ হলে দেশের অর্থনীতি বদলে যাবে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সুখী সমৃদ্ধশালী শোষনমুক্ত সোনার বাংলা বিনির্মানে অনেকদূর এগিয়ে যাবে জাতি।

তারা বিশ্ব ব্যাংকসহ উন্নয়ন সহযোগিদের সহযোগিতা ছাড়া শত প্রতিকূলতার মুখে নিজস্ব অর্থায়নে নির্মাণাধীন পদ্মা সেতু শেখ হাসিনার নামে নামকরণ করার প্রস্তাব করেন। তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দৃঢ়তা এবং রাষ্ট্রনায়কোচিত সিদ্ধান্তেই এ সেতু নির্মাণ সম্ভব হয়েছে।

তারা কোরোনা মোকাবেলায় সরকারের সাফল্যের কথা তুলে ধরে বলেন, আজ ২০ লাখ ডোজ টিকা দেশে এসেছে। এটাও শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বের কারণে সম্ভব হয়েছে।

বাংলাদেশ শীর্ষ খবর