ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে বাংলাদেশি ট্রাক চালককে মারপিট ও অপহরণের ঘটনায় চলমান ধর্মঘট সমঝোতা বৈঠকের পর প্রত্যাহার করা হয়েছে।
সোমবার বিকেল ৪টার পর থেকে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতে রপ্তানি বাণিজ্য শুরু হয়। তবে বেনাপোল বন্দর হ্যান্ডলিংক শ্রমিকদের কর্মবিরতির কারণে পণ্য খালাস বন্ধ থাকায় ভারত থেকে আমদানি বাণিজ্য বন্ধ রয়েছে।
অপহৃত হেলপার মোজাম্মেলকে রক্তাত্ত অবস্থায় রোববার রাত ১০টার দিকে সীমান্ত পথে এপারে ফেরত দেওয়া হয়েছে।
এবিষয়ে বেনাপোলের সিঅ্যান্ডএফ ব্যবসায়ী মোস্তাফিজ্জোহা সেলিম জানান, সোমবার দুপুরে পেট্রাপোল বন্দরে দুইদেশের ব্যবসায়ী সংগঠন ও শ্রমিক নেতাদের মধ্যে বৈঠক হয়েছে।
বৈঠকে উভয় পক্ষের মধ্যে সমঝোতা হওয়ায় শ্রমিকরা ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নিয়েছে।
তিনি জানান, বিকেল থেকে রপ্তানি বাণিজ্য শুরু হয়েছে। কিন্তু, বেনাপোল বন্দর হ্যান্ডলিংক শ্রমিকদের কর্মবিরতির কারণে পণ্য খালাস বন্ধ থাকায় ভারত থেকে আমদানি বাণিজ্য বন্ধ রয়েছে।
ভারতের পেট্রাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ ওয়েল ফেয়ার এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চ্যাটার্জী জানান, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশি ট্রাক শ্রমিকের সঙ্গে ভারতীয় সিঅ্যান্ডএফ কর্মচারীদের হাতাহাতি ঘটনায় রোববার বিকেল থেকে সোমবার বিকেল পর্যন্ত আমদানি, রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ ছিল।
শ্রমিক এবং সিঅ্যান্ডএফ কর্মচারীদের নিয়ে সমঝোতা বৈঠকের পর বিকেল ৪টা থেকে বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি পণ্য নিয়ে পেট্রাপোল বন্দরে ট্রাক প্রবেশ করেছে।
এবিষয়ে বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টমস কার্গো শাখার রাজস্ব কর্মতকর্তা ইমতিয়াজ আহম্মেদ জানান, পেট্রাপোল বন্দরে রপ্তানি পার্কিং নিয়ে বাংলাদেশি ট্রাক শ্রমিকদের সঙ্গে ভারতীয় সিঅ্যান্ডএফ কর্মচারীদের মারপিটের কারণে রোববার বিকেল থেকে সোমবার দুপুর পর্যন্ত আমদানি-রপ্তানি বন্ধ ছিল। পরে উভয়পক্ষের মধ্যে সমঝোতা হওয়ায় বিকেল থেকে শুধুমাত্র রপ্তানি বণিজ্য শুরু হয়েছে।
উল্লেখ্য, রোববার দুপুরে বাংলাদেশি রপ্তানি পণ্য (চালের কুড়া) নিয়ে (ঢাকা-মেট্রো-ট-১৪-৪৭২৯) নম্বরের একটি ট্রাক ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে যায়। ট্রাক পার্কিং নিয়ে ওপারের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের কর্মচারীর সঙ্গে কর্মচারীর সঙ্গে চালক ও হেলপারের কথা কাটাকাটি হয়।
একপর্যায়ে ভারতীয় সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের কর্মচারীরা তাদের দু’জনকে বেদম মারপিট করে।
পরে চালক ট্রাক রেখে পালিয়ে বাংলাদেশে ফিরে আসলেও হেলপারকে তারা অপহরণ করে নিয়ে যায়।
এ ঘটনারই জের ধরে রোববার বিকেল ৪টার পর থেকে বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ করে দেন বিক্ষুদ্ধ ট্রাক শ্রমিকরা।