যোগাযোগ ও রেলমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, “জনগণের দুর্ভোগ দুদর্শা লাঘবে কোনো সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীর অনিয়ম দুর্নীতি বরদাস্ত করা হবে না। আর সময় নেই, মানুষ এখন কথা নয়, কাজ দেখতে চাই।”
রোববার আকস্মিক চুয়াডাঙ্গা পরিদর্শনে এসে সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের উদ্দেশে তিনি এ কথা বলেন।
রোববার বেলা ১১টার দিকে মন্ত্রী কুষ্টিয়া থেকে সড়ক পথে প্রথমে আলমডাঙ্গা রেল স্টেশন আসেন। পরে বেলা ১১টার দিকে মন্ত্রী চুয়াডাঙ্গা রেল স্টেশন পরিদর্শন করেন।
এ সময় মন্ত্রী স্টেশনের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে চরম অসন্তোষ প্রকাশ করেন। স্টেশনের প্লাটফর্ম, সীমানা প্রাচীর ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন না হওয়ায় মন্ত্রী টেলিফোনে পশ্চিমাঞ্চলীয় রেলওয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দেন।
সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, “জনগণের টাকায় আমাদের বেতন হয়, সুতারং জনগণের কাছেই আমাদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।”
এ সময় চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ভোলানাথ দে, পুলিশ সুপার শেখ মিজানুর রহমানসহ রেলওয়ের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পরে মন্ত্রী চুয়াডাঙ্গা সার্কিট হাউজে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আলী আহম্মেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ মত বিনিময় সভায় চুয়াডাঙ্গাবাসীর পক্ষে চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়র রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন চুয়াডাঙ্গা উন্নয়নের ১০ দফা দাবি সম্বলিত একটি দাবিনাম মন্ত্রীর কাছে পেশ করেন।
মন্ত্রী দলীয় নেতাকর্মিদের উদ্দেশে বলেন, “অনেক আশা আঙ্কাখা নিয়ে মানুষ আমাদেরকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন। তাই যারা আমাদের সন্মানিত করেছে তাদেরকেও আমাদেরকে সন্মান করতে শিখতে হবে।”
মতবিনিময় সভায় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজাদুল ইসলাম আজাদ, সহসভাপতি আওরেঙ্গজেব মোল্লা টিপু, সাংগাঠনিক সম্পাদক মুন্সি আলমগীর হান্নান, যুবলীগ আহ্বায়ক আরোফীন আলম রনজুসহ দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।