পদ্মা সেতুর পরামর্শক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী এবং বর্তমান তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রী আবুল হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। রোববার দুদকের দুই কমিশনার ও তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে মন্ত্রী আবুল হোসেনকে নোটিশ পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দুদক চেয়ারম্যান গোলাম রহমান।
সূত্র জানায়, সোম বা মঙ্গলবার দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে মন্ত্রীকে নোটিশ পাঠানো হতে পারে। দুদকের নেওয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তার সুবিধামত সময় এবং পছন্দের স্থানে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানা গেছে।
এদিকে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, পরামর্শক নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে দুদকের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে ইতিমধ্যেই আবুল হোসেনের কথা হয়েছে। দুদকের পক্ষ থেকে নোটিশ পাঠানোর বিষয়ে আগেই অবগত করা হয়েছে তাকে। দুদকের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মন্ত্রী আবুল হোসেন প্রস্তুতি নিয়েছেন বলেও জানা গেছে।
পাশাপাশি সূত্রটি জানিয়েছে, আবুল হোসেন পদ্মা সেতুর পরামর্শক নিয়োগের বিষয়ে লিখিত জবাব তৈরি করেছেন, এবং সংশ্লিষ্ট কিছু কাগজপত্রের ফাইলও করেছেন যা তিনি দুদকের তদন্ত কর্মকর্তাদের দেবেন।
এছাড়া দুদকের তদন্ত কর্মকর্তারা মৌখিকভাবে তাকে সম্ভাব্য যেসব প্রশ্ন করতে পারেন তার একটি খসড়া তিনি তৈরি করেছেন। পাশাপাশি সম্ভাব্য এ সব প্রশ্নের উত্তরও তিনি তৈরি করে রেখেছেন বলে জানা গেছে।
একাধিক সূত্র জানায়, ইতিপূর্বে পদ্মা সেতুর পরামর্শক নিয়োগের বিষয়ে দুদক যাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছে তাদের সঙ্গেও কথা বলেছেন আবুল হোসেন। দুদক তাদের কি কি প্রশ্ন করেছে এবং প্রশ্নের জেরায় তারা কি বলেছেন সে ব্যাপারেও তথ্য সংগ্রহ করেছেন তিনি।
দুদকের একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানায়, আবুল হোসেনকে পরে জিজ্ঞাসাবাদের পেছনে দুদকের যুক্তি হচ্ছে, ইতোপূর্বে যারা পদ্মা সেতুর পরামর্শক নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে জবানবন্দি দিয়েছেন তাদের বক্তব্যের সঙ্গে মন্ত্রী আবুল হোসেনের বক্তব্য মিলিয়ে দেখা।
পাশাপাশি তিনি বলেন,পদ্মা সেতুর পরামর্শক নিয়োগের দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে বিতর্ক সৃষ্টি হয় এমন কোনো কর্মকাণ্ডে জড়াবে না দুদক। তাই দুদক যথাযথ প্রক্রিয়া অনুযায়ী স্বচ্ছভাবে কাজ করবে বলে জানান তিনি।