টু-জি নবায়ন গাইডলাইন লঙ্ঘন করায় বাংলালিংককে কারণ দর্শাও (শোক-কজ) নোটিশ দিয়েছে বিটিআরসি। গ্রামীণফোনকেও নতুন করে চিঠি দিয়েছে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থাটি। রোববার এ তথ্য জানা গেছে বিটিআরসি সূত্রে।
বিটিআরসি সূত্রে সূত্রে জানা গেছে, এই প্রতিষ্ঠানে শীর্ষ পদের লোকবল ১৪ জন। এর মধ্যে ১১ জনই বিদেশি। কিন্তু টু-জি নবায়ন গাইড লাইন অনুযায়ী সর্বোচ্চ ৭ জন বিদেশী শীর্ষ পদে কাজ করতে পারে। অর্থাৎ শীর্ষ পদে মোট জনবলের অর্ধেকের বেশি কোনোমতেই কাজ করতে পারে না।
এ কারণে রোববার বাংলালিংককে পাঠানো চিঠিতে এ বিষয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে বিটিআরসি।
এদিকে, জনবল ছাঁটাই, নিয়োগ ইত্যাদির তথ্য জানতে চেয়ে মোবাইল ফোন অপারেটর কোম্পানি গ্রামীণফোনকে আবারও চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।
রোববার পাঠানো চিঠিতে গ্রামীণফোনের কাছে এসব তথ্য জানতে চেয়েছে বিটিআরসি। আগামী ১১ জুলাইয়ের মধ্যে এসব তথ্য সংবলিত কাগজপত্র কমিশনের কাছে পাঠানোর জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এর আগে একই ধরনের তথ্য জানতে চেয়ে গ্রামীণফোনকে চিঠি দেয় বিটিআরসি। কমিশনের কাছে এর উত্তরও পাঠায় গ্রামীণফোন। তবে সেই উত্তরে জানতে চাওয়া তথ্য নেই বলে দাবি করেছে বিটিআরসি।
চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘জুলাই ২০১১ থেকে এখন পর্যন্ত কতজন জনবল ছাঁটাই হয়েছে তার পরিসংখ্যান সুস্পষ্টভাবে জানতে চাওয়া হলেও গ্রামীণফোন এ ব্যাপারে কোনো তথ্য দেয়নি। যার ফলে গ্রামীণফোনের পাঠানো চিঠিটি অসম্পূর্ণ হিসেবে বিবেচিত হয়।’ এ অবস্থায় ২০১১ থেকে জুন ২০১২ পর্যন্ত কত জনবল চাকরি ছাড়তে বাধ্য হয়েছে এবং কতজন নতুন নিয়োগ পেয়েছে, তার পূর্ণাঙ্গ তালিকা বিটিআরসি চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছে।
এছাড়া গ্রামীণফোনের বিদ্যমান কর্মী নিয়োগ পদ্ধতি, বর্তমান অর্গানোগ্রাম, ভবিষ্যৎ পরিকল্পিত অর্গানোগ্রাম এবং ম্যানেজার ও তদুর্ধ্ব পদে অনুমোদিত প্রতি পদের বিপরীতে বাস্তবে কতজন নিয়োজিত আছেন তার বিস্তারিত তালিকা, গ্রামীণফোনের চাকরি প্রবিধানমালার অনুলিপি, এমপ্লয়মেন্ট রিস্ট্রাকচারিং পলিসির অনুলিপি এবং তা বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে স্থায়ীভাবে কর্মরতদের মধ্যে যাদের পুনঃপরীক্ষা নেওয়া হয়েছে তাদের পরীক্ষা নেওয়ার বিধান এবং পদ্ধতির বিস্তারিত বিবরণ চেয়েছে বিটিআরসি।
একই সঙ্গে গ্রামীণফোনে কর্মরত সব বিদেশি কর্মকর্তা এবং পরিচালক ও তদুর্ধ্ব কর্মকর্তাদের সম্পর্কেও জানতে চেয়ে চিঠি দিয়েছে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।
এদিকে গ্রামীণফোনে কর্মী ছাটাই নিয়ে চলমান ঘটনাবলীর প্রেক্ষাপটে বিটিআরসি চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) জিয়া আহমেদ গ্রামীণফোনের সিইও টরে জনসনের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। এসময় জিয়া আহমেদ কর্মী ছাটাই বিষয়ে টরেকে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দেন।