আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী বলেছেন, “আওয়ামী লীগ ছাড়া আর কেউ বাঙালি জাতীয়তাবাদ নিয়ে চিন্তা করে না। তারা শুধু চিন্তা করে কীভাবে ক্ষমতায় যেতে হবে। ছাত্রলীগ এবং আওয়ামী লীগের মধ্যকার গ্যাপ পূরণের জন্যই বঙ্গবন্ধু যুবলীগ প্রতিষ্ঠা করেন। আগামী দিনে যুবলীগকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে জাতীয় ৪ নীতি সম্মুন্নত রাখতে হবে।”
রোববার বিকেলে ধানমণ্ডির কলাবাগানে ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, “জিয়াউর রহমানই বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী। তার ষড়যন্ত্রে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছিল। বন্দুক দিয়ে যারাই ক্ষমতা দখল করে, তারা বেশি দিন টিকে না। তারা শুধু লুটপাট করে, জিয়াউর রহমানও তা করেছেন।”
প্রধান বক্তা হিসেবে যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মির্জা আজম বলেন, “আগামী দিনে যুবলীগে যে নেতৃত্ব আসবে তার সঙ্গে চাঁদাবাজ, ধান্দাবাজ ও কালো টাকার মালিকদের সম্পর্ক থাকবে না।”
তিনি আরও বলেন, “গত সাড়ে ৩ বছরে প্রত্যাশার সঙ্গে প্রাপ্তির মিল না থাকতে পারে। তবে আমরা শান্তিতে আছি। আগামী নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় এলে আমাদের কী অবস্থা হতে পারে, সেটা চিন্তা করে প্রতিহিংসার রাজনীতি ভুলে কেন্দ্র থেকে গ্রাম পর্যায় পর্যন্ত যুবলীগকে শক্তিশালী করতে হবে।”
যুবলীগের উত্তরের সভাপতি আবুল বাশারের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি অতিথি ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন, স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী, সংগঠনের ঢাকা উত্তরের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিলসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।