কর আপিলাত ট্রাইব্যুনালে এক হাজার ৪১৯টি মামলা নিষ্পত্তির অপেক্ষায় রয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত।
রোববার জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তর পর্বে বিএনপির অনুপস্থিত সদস্য শহীদ উদ্দিন চৌধুরীর এ্যানির প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।
অর্থমন্ত্রী বলেন, “কর আপিলাত ট্রাইব্যুনালের সাতটি বেঞ্চে বর্তমানে এক হাজার ৪১৯টি মামলা নিস্পত্তির অপেক্ষায় আছে। আইন অনুযায়ী কর মামলা যে মাসে দায়ের করা হবে, সে মাসের শেষ তারিখ হতে ছয় মাসের মধ্যে মামলা নিস্পত্তি করতে হবে। চলতি বছর জানুয়ারি হতে দায়ের করা কোনো মামলা নিস্পত্তির ক্ষেত্রে ছয় মাস অতিক্রম করেনি।”
নাছিমুল আলম চৌধুরীর প্রশ্নের অর্থমন্ত্রী জানান, ২০১৫ সালের দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি আট শতাংশে উন্নীত হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
একই প্রশ্নকর্তার অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, “২০০৯-১০ অর্থবছরে রাজস্ব আয়ের পরিমাণ ছয় হাজার ৬১৮ কোটি এবং ২০১০-১১ অর্থবছরে এর পরিমাণ সাত হাজার ৬৮৫ কোটি টাকা।”
এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জাবাবে অর্থমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ ব্যাংক গত অর্থবছরে বাণিজ্যিক ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে সরবরাহ করা টাকার বিপরীতে ৮২১ কোটি ২৭ লাখ টাকা মুনাফা অর্জন করেছে।
এ কে এম রহমতুল্লাহর প্রশ্নের অর্থমন্ত্রী জানান, বর্তমানে দেশে লিকুইড মানির কোনো সংকট নেই।
সানজিদা খানমের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, “১৯৭২ সাল হতে ৩১ মে ২০১২ পর্যন্ত ৫৬ দশমিক ০৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বৈদেশিক সাহায্য পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ৩২ দশমিক ২৬বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ এবং ২৩ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অনুদান। এই বৈদেশিক সাহায্য বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসুচির আওতায় অবকাটামো ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং দারিদ্র বিমোচন কর্মসূচিতে ব্যবহার করা হয়েছে এবং হচ্ছে।”
অর্থমন্ত্রী বলেন, “আগামীতে বাংলাদেশকে ৭ভাগ হতে ৮ভাগ বা এর অধিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে হলে জিডিপির শতকরা ৩০ থেকে ৩৫ ভাগ অভ্যন্তরীণ বিনিয়োগের প্রয়োজন হবে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে অভ্যন্তরীণ রাজস্ব হতে এ পরিমান বিনিয়োগ করা সম্ভব নয়। সে ক্ষেত্রে বৈদেশিক সাহায্য এখনো গুরুত্বপুর্ণ ভূমিকা পালনে সক্ষম।”
তিনি বলেন, “উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশ এ ধরনের বৈদেশিক সাহায্য পাওয়ার অধিকারী। কারণ উন্নত দেশসমূহ তাদের জাতীয় আয়ের ৭ ভাগ উন্নয়নশীল দেশসমূহকে সাহায্য হিসেবে প্রদানের জন্য অঙ্গিকারাবদ্ধ।”