লিবিয়ার সংসদ নির্বাচনের ভোট গণনা চলছে, উদারপন্থিরা এগিয়ে

লিবিয়ার সংসদ নির্বাচনের ভোট গণনা চলছে, উদারপন্থিরা এগিয়ে

লিবিয়ায় দীর্ঘ চার দশক পর গত শনিবার অনুষ্ঠিত নির্বাচনের ভোট গণনা চলছে। এ পর্যন্ত বেসরকারি এবং বিরোধী দলগুলোর বরাতে পাওয়া খবরে জানা যাচ্ছে, উদারপন্থি ন্যাশনাল ফোর্সেস অ্যালায়েন্স বেশিরভাগ আসনে এগিয়ে রয়েছে বলে দাবি করছে।

ন্যাশনাল ফোর্সেস অ্যালায়েন্সের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল ক্রেকশি রোববার জানিয়েছেন, প্রাথমিক খবরে বেশিরভাগ আসনে এগিয়ে রয়েছে তাদের জোট।

উদাপন্থিদের এ জোটের নেতা মাহমুদ জিবরিল। গত বছর সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে মুয়াম্মার গাদ্দাফিকে ক্ষমতাচ্যুত করার পেছনে নেতৃস্থানীয় ভূমিকা রেখেছেন তিনি। তিনি গাদ্দাফি সরকারের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, বিক্ষোভ শুরুর পরে পক্ষ ত্যাগ করেন।

এদিকে লিবিয়ার প্রধান ইসলাপন্থি দল মুসলিম ব্রাদারহুডের নেতা মোহাম্মদ সোবানও স্বীকার করেছেন, তাদের বিরোধী জোট দেশের বৃহৎ দু’টি শহরে এগিয়ে রয়েছে।

লিবিয়া মুসলিম ব্রাদারহুডের রাজনৈতিক শাখা জাস্টিস অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন পার্টির প্রধান মোহাম্মদ সোবান বলেন, “ন্যাশনাল ফোর্সেস অ্যালায়েন্স মিসরাতা বাদে কিছু শহরে ভাল ফলাফল করেছে। ত্রিপোলি এবং বেনগাজিতে তারা সুস্পষ্টভাবে এগিয়ে রয়েছে।”

তবে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে হাড্ডহাড্ডি লড়াই হবে বলে জানান তিনি।

এদিকে ত্রিপোলি এবং বেনগাজিতে জড়ো হয়ে মানুষ ইতোমধ্যেই উল্লাস করা শুরু করেছে। যদিও নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করতে এখনো পাঁচ থেকে ছয় দিন সময় লেগে যেতে পারে।

গত শনিবার লিবিয়ার ২০০ আসনের সংসদ জেনারেল ন্যাশনাল কংগ্রেস নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন লিবিয়ার জনগণ। এদিন ২৮ লাখ নিবন্ধিত ভোটের মধ্যে ৬০ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের পর্যবেক্ষক দল বলেছে, শনিবারের নির্বাচন বেশ শান্তিপূর্ণভাবেই সম্পন্ন হয়েছে।

সংসদে মোট আসনের মধ্যে ৮০টি আসন রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য সংরক্ষিত। বাকি ১২০টি আসন নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রার্থীদের জন্য যারা নির্দিষ্ট কোনো দলের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত।

ঐতিহাসিক এ নির্বাচনে সারা দেশের ৭২টি জেলায় মোট প্রার্থী ৩ হাজার ৭শ’ ৭ জন। নির্বাচনে লড়ছে মূলত উদারপন্থি জোট ন্যাশনাল ফোর্সেস অ্যালায়েন্স এবং ইসলামপন্থি দুই দল জাস্টিস অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন ও আল ওয়াতান।

গোটা বিশ্ব তাকিয়ে আছে অপেক্ষাকৃত রক্ষণশীল এবং উপজাতি অধ্যুষিত দেশ লিবিয়ার রাজনৈতিক গতিপ্রকৃতি কোন দিকে মোড় নেয়। এর আগে মিসর এবং তিউনিসিয়াতে যেভাবে ইসলামপন্থিদের উত্থান ঘটেছে লিবিয়াতেও সেরকম কোনো পক্ষ ক্ষমতায় আসে কি না সেটাই এখন দেখার বিষয়।

আন্তর্জাতিক