মহামারি নিয়ন্ত্রণে ফাইজার-বায়োএনটেক উদ্ভাবিত করোনার ভ্যাকসিন নিশ্চিত করতে কোভ্যাক্সকে চিঠি পাঠাবে বাংলাদেশ। করোনা নিয়ন্ত্রণে মার্কিন ফার্মাসিউটিক্যাল প্রতিষ্ঠান ফাইজার এবং জার্মান সংস্থা বায়োএনটেকের যৌথ উদ্যোগে তৈরি করোনার ভ্যাকসিন পাওয়ার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ। সোমবার (১১ জানুয়ারি) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ আগ্রহের কথা জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবিএম খুরশীদ আলম, অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) পরিচালিত কোভ্যাক্স কর্মসূচি থেকে বাংলাদেশে কাছে জানতে চাওয়া হয় বাংলাদেশ ফাইজার-বায়োএনটেকের ভ্যাকসিনের বিষয়ে আগ্রহী কি না। ফাইজারের ভ্যাকসিনের সাফল্য পাওয়া গেলেও এর সংরক্ষণ ও বিতরণ নিয়ে জটিলতা আছে। সেজন্য দেশে মাইনাস ৭০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় টিকা সংরক্ষণের জন্য কতটি ফ্রিজ আছে সে হিসাব করে দু’একদিনের মধ্যেই কোভ্যাক্সকে চিঠি দেয়া হবে বলে জানানো হয়।
তবে, খুব বেশি ফাইজারের টিকা সংগ্রহ করা সম্ভব না বলেও সংবাদ সম্মেলনে। কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়, দেশে থাকা ভ্যাকসিন সংরক্ষণের মোট ফ্রিজের মাত্র দশমিক ৪ শতাংশ ফ্রিজ আছে মাইনাস ৭০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় ভ্যাকসিন সংরক্ষণ করার মতো।
করোনা মহামারি নিয়ন্ত্রণে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন কর্মসূচি কোভ্যাক্সের মাধ্যমে ২০২১ সালের মধ্যে অন্তত ১৭২টি দেশে ২০০ কোটি ডোজ বিতরণের প্রতিশ্রুতি রয়েছে।
এর আগে, করোনা নিয়ন্ত্রণে অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন হাতে পেতে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিনের এশীয় অঞ্চলের উৎপাদক ভারতীয় প্রতিষ্ঠান সেরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে চুক্তি করেছিল বাংলাদেশ। মূলত রংরক্ষণ ও বিতরণ সুবিধার কারণেই অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিনের বিষয়ে আগ্রহী হয় বাংলাদেশ।