সাকিবের ব্যাটে টি-টোয়েন্টি ঝড়

সাকিবের ব্যাটে টি-টোয়েন্টি ঝড়

টি-টোয়েন্টিতে ২৭৩ অতি মানবীয় ইনিংস মনে হতে পারে। কিন্তু ঘটনাটি ঘটেছে জাতীয় দল ও ‘এ’ দলের খেলায়। বিসিবি একাডেমি মাঠে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ২০ ওভারে চার উইকেট হারিয়ে ওই স্কোর করে জাতীয় দল। সাকিব আল হাসান খেলেছেন ধন্দুমার ইনিংস। ৪১ বলে ৯টি চার ও ৮টি ছয়ের মারে ৯৭ রান করেছেন। জহুরুল ইসলাম ৩৮ বলে খেলেছেন ৭২ রানের ইনিংস।

রানের পাহাড় টপকে ‘এ’ দল জিততে না পারলেও কমে ছাড়েনি। ২০ ওভারে ছয় উইকেট হারিয়ে তুলেছে ১৮০ রান। বড় দলের কাছে ছোট দলের হার হয়েছে ৯৩ রানে।

স্কোর থেকে খেলার মান বিচার করা সমীচিন হবে না। আদর্শ সাইজের ক্রিকেট মাঠে খেলা হয়নি। একাডেমির মাঠ পূর্বপশ্চিমে বড় হলেও উত্তর-দিক্ষিণে খুব ছোট। তাতে ব্যাটসম্যানদের জন্য রান তোলা খুব সহজ। তুলে তুলে মারলেই ছয়, চার হয়। এ ধরণের মাঠ সিক্সেসাইড ক্রিকেটের জন্য আদর্শ। সেখানে টি-টোয়েন্টি খেললে বোলার এবং ফিল্ডারদের ওপর দিয়ে ঝড় বয়ে যাওয়া খুবই স্বাভাবিক।

তারপরেও বলতে হবে বাংলাদেশ দল যথেষ্ট ভালো খেলেছে। উদ্বোধনী জুটিতে ৪০ রান হওয়ার পর আরাফাত সানির বলে ক্যাচ তুলে সাজঘরে ফেরেন মোহাম্মদ আশরাফুল। ১৩ রান করেছেন তিনি। কোচ রিচার্ড পাইবাস দলের সেরা অস্ত্রো সাকিব আল হাসানকে তিন নম্বরে নামালেন। জহুরুলের সঙ্গে সাকিবের জুটি হয় ১০৪ রানের। সাতটি চার ও পাঁচটি ছয়ের মারে ঝড়ো ইনিংস খেলে আলাউদ্দিন বাবুর বলে এলবিডব্লু হলেন জহুরুল। পেস বোলার ডলার মাহমুদের শিকার হওয়ার আগে সাকিব তার ঝলক দেখিয়ে গেলেন। সাকিবের সঙ্গে মুশফিকুর রহিমেরও ৮১ রানের জুটি হয়। অধিনায়ক ২৫ বলে ৬২ রান করে ডলারকে উইকেট দিয়েছেন। সাত বলে ২৪ রান নিয়ে অপরাজিত ছিলেন মাশরাফি বিন মুর্তজা।

লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়ে বড় জুটি গড়তে পারেননি ‘এ’ দলের খেলোয়াড়রা। ইমরুল কায়েস ৩২, মোহাম্মদ মিথুন ২৬, নাঈম ইসলাম ৪০, ফরহাদ রেজা অপরাজিত ৪৫ রানের ইনিংস খেললে ২০ ওভার শেষে ১৮০ রানের সংগ্রহ পায় ‘এ’ দল।

প্র্যাকটিসের পুরো সুযোগ নিতে পারেনি জাতীয় দল। বৃষ্টিতে পন্ড হয়েছে দ্বিতীয় ম্যাচটি। এবার আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৯ ওভারে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ১৭৪ রান করে ‘এ’ দল। ইনিংস শেষ হওয়ার আগেই জোরে সোরে বৃষ্টি হানা দিলে খেলা বন্ধ করে দিতে হয়।

নাঈম ইসলাম ৮৭ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছেন ৪৯ বলে। ছয়টি চার ও সাতটি ছয়ের মার ছিলো তার ইনিংসে। ফরহাদ রেজা ২৬ এবং ধীমান ঘোষ ১৮ রান করেছেন। শফিউল চার ওভারে ২৩ রান দিয়ে নিয়েছেন তিনটি উইকেট। নাজমুল হোসেন তিন ওভারে ১৯ রান দিয়ে নিয়েছেন দুই উইকেট।

দ্বিতীয় ম্যাচে ব্যাটিং করতে না পারলেও বোলিং প্র্যাকটিস হয়েছে জাতীয় দলের। তাদের জন্যই মূলত ‘এ’ দলকে টি-টোয়েন্টি খেলতে হয়েছে। প্র্যাকটিসে একটু ক্ষতিও হয়ে গেছে জাতীয় দলে, পেসার মাশরাফি তার হাঁটুর পেছনের পেশিতে চোট পেয়েছেন। আঘাত খুব একটা গুরুতর না। প্রাথমিক চিকিৎসাতে হয়তো সেরে উঠবেন।

খেলাধূলা