রাজধানীতে গ্রুপ স্টাডির কথা বলে ডেকে নিয়ে ‘ও’ লেভেলের ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলার প্রধান আসামি ফারদিন ইফতেখার দিহানকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
শুক্রবার (০৮ জানুয়ারি) আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়ার পর ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এদিন ঘটনার একমাত্র আসামি দিহানকে আদালতে তুললে দোষ স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন তিনি। পাশবিকতা ও নিষ্ঠুরতার সঙ্গে হত্যা করা হয়েছে বলে জানান আইনাজীবীরা।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী হেমায়েত উদ্দিন খান বলেন, ‘অত্যন্ত পাশবিকতার আশ্রয় নিয়ে, নিষ্ঠুরতার আশ্রয় নিয়ে একজন সম্ভাবনাময় একজন মেধাবী ছাত্রীকে সে নির্মমভাবে হত্যা করে। সে তার নিজের দোষ স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।’
এমন ঘটনায় জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি পরিবারের। স্বজনদের দাবি, তাকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর ধর্ষণ করে হত্যা করা হয়। দোষীকে সর্বোচ্চ শাস্তি দিতে হবে।
এ ঘটনায় প্রেসক্লাবের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীসহ কয়েকটি সংগঠন। দাবি একটাই, দোষীর সর্বোচ্চ শাস্তি।
মামলার প্রধান অভিযুক্ত তানভীর ইফতেফার দিহানকে একমাত্র আসামি করে মেয়েটির বাবা ধর্ষণ ও হত্যার মামলা দায়ের করেন রাজধানীর কলাবাগান থানায়।
মামলায় বলা হয়েছে, ধর্ষণের পর রক্তক্ষরণ হলে নির্যাতিতাকে আনোয়ার খান মর্ডান হাসপাতালে নিয়ে যান অভিযুক্ত নিজেই। এর মধ্যে নির্যাতিতার মাকে ফোন করে মেয়ের অসুস্থতার কথা জানায় সে। হাসপাতালে আসার আগেই মেয়ের মৃত্যুর খবর পান মা।