দেশের স্বার্থে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে হবে বলে মনে করছেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।
তিনি বলেছেন, ‘আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় দেশের স্বার্থে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। কারণ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপর খুব বেশি আস্থা রাখা সম্ভব নয়। পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে দেখা গেছে- তারা গণতন্ত্রের স্বার্থে সব সময় নিরাপদ নয়। তারা তিন মাসের দায়িত্ব ২ বছর এমন কি ৩ বছর পর্যন্ত বাড়িয়ে দিতে পারে।’
শনিবার দুপুরে পাবলিক লাইব্রেরি সম্মেলন কক্ষে ‘অন্তর্বতীকালীন সরকারের অধীন ব্যতীত জাতীয় নির্বাচনের বিকল্প নেই’ শীর্র্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বঙ্গমাতা পরিষদ এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
আওয়ামী লীগের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব উল্লেখ করে তিনি বলেন, “বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর যতগুলো নির্বাচন হয়েছে সবগুলো সুষ্ঠু হয়েছে। এগুলোতে সরকার কোন প্রকার হস্তক্ষেপ করেনি। এ নির্বাচনের কোনটিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বা সমর্থিত প্রার্থী জয়ী হয়েছে, কোনটিতে পরাজিতও হয়েছে। আওয়ামী লীগ এ ক্ষেত্রে দেশের মানুষের আস্থা অর্জন করেছে।”
সেনা সমর্থিত গত তত্তাবধায়ক সরকারের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের এই বর্ষীয়ান নেতা বলেন, “সে সময় অবৈধভাবে শেখ হাসিনাকে আটক করা হয়েছে। একই সঙ্গে আওয়ামী লীগের বড় বড় নেতাকর্মীদের আটক করা হয়েছে। বিনা বিচারে সবাইকে দুই বছর আটকে রাখা হয়েছে। তারা সত্যিকার অর্থে আওয়ামী লীগের উপর নির্যাতন করেছে। আর লোক দেখানোর উদ্দেশ্যে তারা তখন খালেদা জিয়াকে আটক করে।”
হিউম্যান রাইটর্স ওয়াচের সাম্প্রতিক মন্তব্যের সমলোচনা করে তিনি বলেন, “তারা বিডিআর বিচার সম্পর্কে যে প্রতিবেদন পেশ করেছে তার সঙ্গে বাস্তবতার কোন মিল নেই। তারা র্যাব বন্ধ করার দাবি তুলেছে কিন্তু এই সংগঠনের মতো গুরুত্বপূর্ণ সংগঠনের কার্যক্রম বন্ধ করে দিলে দেশের আইন শৃংখলা পরিস্থিতির যথেষ্ট খারাপ হয়ে যাবে। যা কোন ভাবেই কাম্য নয়।”
বঙ্গমাতা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এম আনিছুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন অগ্রণী ব্যাংকের চেয়ারম্যান খন্দকার বজলুল হক, ঢাকা সেক্টর কমান্ডার ফোরামের আহ্ববায়ক মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ফয়েজ উদ্দিন মিয়া, আওয়ামী লীগ নেতা শাহে আলাম মোরাদ, জনতা ব্যাংকের পরিচালক অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার প্রমুখ।
অগ্রণী ব্যাংকের চেয়ারম্যান খন্দকার বজলুল হক বলেন, “এ মুহুর্তে দেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রয়োজন নেই। কারণ, যে পরিস্থিতিতে এ সরকার এসেছিল এখন সেই পরিস্থিতি নেই। দেশের মানুষ যেভাবে চায় আগামী সংসদ নির্বাচন সেভাবেই হবে।”