মার্কিন ক্যাপিটল হিলে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সমর্থকদের হামলার ঘটনায় ৪ ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। যাদের মধ্যে এক নারী পুলিশের গুলিতে আর বাকি ৩ জন মারাত্মক আহত হওয়ার পর মারা যান।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, এখন পর্যন্ত ৫২ জনকে আটক করা হয়েছে। যাদের মধ্যে ৪৭ জন কারফিউ লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
নিহত নারী হলেন সানদিয়াগোর বাসিন্দা আসলি বাবিট। তিনি মার্কিন নৌবাহিনীর সাবেক কর্মী ছিলেন। দাঙ্গাকারীদের সঙ্গে ক্যাপিটল ভবনে ঢোকার সময় তিনি নিহত হন।
মার্কিন গণমাধ্যম জানায়, আসলি বাবিট ছিলেন একজন ট্রাম্প সমর্থক। তার শরীরে গুলি লাগার পর হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ওয়াশিংটন ডিসির মেয়র বাউসের বলেন, নিহত বাকি তিনজনের মধ্যে একজন প্রাপ্তবয়স্ক নারী। বাকি তিনজন পুরুষ। তারা বিভিন্নভাবে আহত হয়েছিলেন। এ ছাড়া মেট্রো পুলিশের ১৪ সদস্যও আহত হন।
কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে নির্বাচনে জো বাইডেনের জয়ের স্বীকৃতির প্রক্রিয়া চলার সময় ট্রাম্পের শত শত সমর্থক ক্যাপিটল ভবনে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছে।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পের পরাজয় উল্টে দেয়ার চেষ্টায় যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস ভবন ক্যাপিটলে বুধবার এ হামলা চালানো হয়।
হামলাকারীরা যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্রের প্রতীক বলে বিবেচিত ক্যাপিটল দখল করে নিয়েছিল। এতে অধিবেশন স্থগিত করতে বাধ্য হয় কংগ্রেস।
পুলিশ পাহারা দিয়ে আইনপ্রণেতাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়। যৌথ অধিবেশনে সভাপতিত্ব করা ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সকেও পাহারা দিয়ে অধিবেশন কক্ষ থেকে বের করে পুলিশ।
এর পর ক্যাপিটলকে ট্রাম্প সমর্থকদের দখলমুক্ত করতে অভিযান শুরু করে, এতে তিন ঘণ্টারও বেশি সময় লেগে যায়।
হলওয়েগুলো দিয়ে ট্রাম্প সমর্থকদের ছোটাছুটি ও বিভিন্ন দফতরে গিয়ে খোঁজাখুঁজি ও তাণ্ডবে হাঙ্গামা ও বিশৃঙ্খলার এক নজিরবিহীন দৃশ্যের অবতারণা হয়।
এদিকে ডোনাল্ড ট্রাম্প এক ভিডিও বার্তায় তার সমর্থকদের বাড়ি ফেরার অনুরোধ করেন। কিন্তু তিনি আবারো দাবি করেন, জো বাইডেনের ডেমোক্র্যাট দল নির্বাচন চুরি করেছে। যদিও তিনি কোনো প্রমাণ দিতে পারেননি।
সমর্থকদের উদ্দেশে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি আপনাদের বেদনা বুঝি, আমি জানি আপনারা কষ্ট পেয়েছেন। আপনাদের এখন বাড়ি ফিরতে হবে। আমাদের শান্তি দরকার, আমরা চাইনা কেউ আহত হোক।’