শিগগিরই সারাদেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র পে স্কেল ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী মোতাহার হোসেন।
তিনি বলেন, “এ লক্ষে বর্তমান মহাজোট সরকার কাজ করে যাচ্ছে। এছাড়া পর্যায়ক্রমে প্রত্যেক বিদ্যালয়ে একজন করে নৈশপ্রহরী নিয়োগের বিষয়টিও বিবেচনাধীন রয়েছে।”
এছাড়া প্রত্যেক বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ মার্চের মধ্যে শিক্ষকদের বদলি করার নির্দেশনা জারি করা হয়েছে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।
শনিবার দুপুরে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের আয়োজনে পাটগ্রাম পৌর কমিউনিটি হলরুমে ‘দারিদ্র্যপীড়িত এলাকায় স্কুল ফিডিং প্রোগ্রাম’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি বিগত জোট সরকারের কঠোর সমালোচনা করে আরও বলেন, “আমরা মফিজ আর মঙ্গা দেখতে চাই না। এ অঞ্চলের মানুষ বর্তমানে আর্থিকভাবে স্বচ্ছল হয়ে উঠছে। এখন শুধু মানসম্পন্ন শিক্ষা অর্জন করা প্রয়োজন। তাই, আপনাদের কাছে আমার প্রত্যাশা, দেশে আদর্শবান এবং মানসম্পন্ন শিক্ষিত জাতি তৈরি করবেন।”
পাটগ্রাম উপজেলা চেয়ারম্যান রুহুল আমীন বাবুলের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- প্রকল্প পরিচালক বাবলু কুমার সাহা, রংপুর বিভাগীয় শিক্ষা কর্মকর্তা কুতুব উদ্দিন, লালমনিরহাট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নাজনীন আক্তার, পাটগ্রাম পৌর মেয়র শমসের আলী, উপজেলা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান ওয়াজেদুল ইসলাম শাহীন, পাটগ্রাম উপজেলা শিক্ষা অফিসার একেএম তৌফিকুর রহমান, মানসিকা এনজিওর উপদেষ্টা ইফতেখার হোসেন মাসুদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম নাজু, উপজেলা এসএমসি কমিটির সভাপতি লতিফুল রেজ্জাক ও জাতীয় পার্টির উপজেলা সভাপতি কুদরত ইলাহী বাবুল প্রমুখ।
এর আগে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মোতাহার হোসেন, এমপি পাটগ্রাম উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে মৎস্য সপ্তাহের উদ্বোধন করেন।