ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য টিকা তৈরির অনুমোদন পেয়েছে দেশীয় প্রতিষ্ঠান গ্লোব বায়োটেক।
আজ বুধবার (৬ ডিসেম্বর) গ্লোব বায়োটেক লিমিটেডের গবেষণা ও উন্নয়ন বিভাগের প্রধান ডা. আসিফ মাহমুদ এ তথ্য জানান।
যেকোনো ওষুধ উৎপাদনের জন্য ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের অনুমতি প্রয়োজন হয়। এরপর ট্রায়ালের জন্য লাগে আলাদা অনুমোদন।
টিকা উৎপাদনের পর গ্লোব বায়োটেক টিকার ট্রায়ালের অনুমোদনের জন্য চেষ্টা চালাবে।
গত বছরের ২ জুলাই নতুন করোনাভাইরাসের (কভিড-১৯) টিকা উদ্ভাবনের দাবি করে ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান গ্লোব ফার্মাসিউটিক্যালস গ্রুপ অব কোম্পানিজ লিমিটেডের সহযোগী প্রতিষ্ঠান গ্লোব বায়োটেক লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটি গত ৮ মার্চ এই টিকা তৈরির কাজ শুরু করে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তালিকায় বাংলাদেশের গ্লোব বায়োটেকের নাম আছে। যে ১৫৬টি টিকা পরীক্ষামূলক প্রয়োগের পূর্বাবস্থায় আছে, তার মধ্যে গ্লোবের তিনটি টিকা আছে। গত বছরের ১৮ অক্টোবর গ্লোব বায়োটেকের গবেষণা ও উন্নয়ন শাখার প্রধান আসিফ মাহমুদ জানিয়েছিলেন, প্রাণীর ওপর তাদের টিকার সফল পরীক্ষা হয়েছে। তারা ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ওই সময় গ্লোব কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, তারা তিনটি টিকা উদ্ভাবন করেছে। এগুলো হলো ডি৬১৪ ভেরিয়েন্ট এমআরএনএ, ডিএনএ প্লাজমিড ও এডিনোভাইরাস টাইপ-৫ ভেক্টর।
আসিফ মাহমুদ জানিয়েছেন, এই মাসের মধ্যেই তারা ট্রায়াল শুরু করতে চান।
ভ্যাকসিনের ট্রায়ালে সাধারণত তিনটি ধাপ থাকে। প্রথম দুই ধাপে অল্প মানুষকে নিয়ে ট্রায়াল হয়। তৃতীয় ধাপে সংখ্যা বাড়ে।
গ্লোব বায়োটেক বলছে, তারা প্রথম দুই ধাপের ট্রায়াল একসঙ্গে করতে চায়। এরপর তৃতীয় ধাপ শেষ করতে করতে পাঁচ থেকে ছয় মাস সময় লাগতে পারে।