মুজিববর্ষ উপলক্ষে আগামী ১০ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ঢাকা ম্যারাথন ২০২১’। ফুল ও হাফ দুই ক্যাটাগরিতে রাজধানীর আর্মি স্টেডিয়াম থেকে শুরু হয়ে হাতিরঝিল গিয়ে শেষ হবে এবারের ম্যারাথন।
এবারের ম্যারাথন আয়োজনে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা দিতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম।
ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, সারাবছর ধরে আমরা জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী পালন করতে চেয়েছিলাম। পুলিশের পক্ষ থেকে অনেক প্রোগ্রাম করার কথা থাকলেও কোভিড-১৯ এর কারণে সম্ভব হয়নি। মুজিববর্ষ উপলক্ষে আয়োজিত ম্যারাথনে কোনো ধরনের নিরাপত্তার ঘাটতি থাকবে না। আমরা সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেব।
সে সময় প্রভোস্ট মার্শাল ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবু নাসের মো. ইলিয়াছ বলেন, ‘কোভিড পরিস্থিতিতে মুজিববর্ষে অনেক ইভেন্ট থাকলেও অনুষ্ঠিত করা সম্ভব হয়নি। মুজিববর্ষ উদযাপনের অংশ হিসেবে এই ম্যারাথন ইভেন্টের আয়োজন করা হয়েছে।’
সমন্বয় সভা থেকে জানা যায়, আর্মি স্টেডিয়াম থেকে ৪২.১৯৫ কি.মি. ফুল ম্যারাথন ও ২১.০৯৭ কি.মি. হাফ ম্যারাথন শুরু হয়ে হাতিরঝিল গিয়ে শেষ হবে। রুট হিসেবে বাংলাদেশ আর্মি স্টেডিয়াম-কাকলী ক্রসিং-কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ-গুলশান ২-গুলশান ১-পুলিশ প্লাজা- হাতিরঝিল (সম্পূর্ণ হাতিরঝিল চার চক্কর দিয়ে শেষ হবে)। ফুল ম্যারাথনে অংশ নেবেন ১০০ জন যা শুরু হবে ১০ জানুয়ারি সকাল সাড়ে ৬টায়।
অন্যদিকে ১০০ জনের অংশগ্রহণে হাফ ম্যারাথন শুরু হবে সকাল ৬টা ৪০ মিনিটে। ম্যারাথনে অংশগ্রহণকারী সকলকে করোনা টেস্ট করে নেগেটিভ হয়ে দৌড়ে অংশ নিতে হবে। ম্যারাথনে অংশগ্রহণকারী বিদেশি অ্যাথলেটদের মধ্যে ফুল ম্যারাথনে ৩১ জন ও হাফ ম্যারাথনে ৬ জন অংশগ্রহণ করবেন।
ম্যারাথন উপলক্ষে গৃহীত নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে থাকবে ম্যারাথন রুটে পিকেট ব্যবস্থা, ফুট প্যাট্রল, ব্যারিকেড চেকপোস্ট ব্যবস্থা, রুফটপ ডিউটি, মোবাইল প্যাট্রলিং এবং স্টিল ও ভিডিও ক্যামেরা। এছাড়াও ম্যারাথন রুটে কোনো ভাসমান দোকান বসতে দেওয়া হবে না। থাকবে বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট ও ডগ স্কোয়াড দিয়ে ম্যারাথন রুটে সুইপিং ব্যবস্থা এবং মোতায়েন থাকবে মেডিকেল টিম, ফায়ার টেন্ডার ও অ্যাম্বুলেন্স।
সমন্বয় সভায় ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস, ফিন্যান্স অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট) ড. এ এফ এম মাসুম রব্বানী, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (কাউন্টার টেরোরিজম) মো. মনিরুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) কৃষ্ণপদ রায়, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) এ কে এম হাফিজ আক্তার, যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক-উত্তর), অতিরিক্ত দায়িত্বে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. আব্দুর রাজ্জাক ও লেফটেন্যান্ট কর্নেল এ এস এম সেফাউল ইসলামসহ মিলিটারি পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং গোয়েন্দা সংস্থা, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন, ফায়ার সার্ভিস, স্বাস্থ্য অধিদফতরে প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।