টি-টোয়েন্টিতে আক্ষেপ ঘোচাতে চান মুশফিকুর

টি-টোয়েন্টিতে আক্ষেপ ঘোচাতে চান মুশফিকুর

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে খুব একটা উন্নতি হয়নি বাংলাদেশের। জিম্বাবুয়ে এবং আয়ারল্যান্ডের কাছেও হারের অভিজ্ঞতা আছে। ২০ ওভারের ক্রিকেটে দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতেই বিশ্বকাপের আগে অনেক ম্যাচ খেলার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে জাতীয় দলকে। আগামী ১১ জুলাই আয়ারল্যান্ড যাবে বাংলাদেশ দল। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে লক্ষ্য সম্পর্কে অধিনায়ক বলছিলেন-

প্রশ্ন ঃ আগের অভিজ্ঞতা থেকে আয়ারল্যান্ড সফরটাকে কঠিন মনে করেন?

মুশফিক ঃ অবশ্যই কঠিন। প্রথমত দেশের বাইরে গিয়ে আমরা ধারাবাহিকভাবে ভাল খেলতে পারি না। দ্বিতীয়ত এটা টি-টোয়েন্টি। এই ফরম্যাট ছোট বড় বলে কোন টিম নেই। এবার হয়ত আমরাই ফেবারিট হিসেবে খেলবো। তবে খেলা হবে তাদের মাঠে। তাই এই সফরটা আমাদের জন্য মোটেও সহজ হবে না। তবে ভালো দিক হলো আমাদের প্রধান দুই খেলোয়াড় দলে ফিরে এসেছে। সাকিব এবং শফিউল ফর্মে থাকা ক্রিকেটার। আশা করি তারা ভাল করবে। সঙ্গে আমরাও টিম হিসেবে ভাল করবো। ফলাফলও ভালো হবে।

প্রশ্ন:টি-টোয়েন্টিতে আয়ারল্যান্ড সব সময় বাংলাদেশের জন্য হুমকি। সেখানে সাফল্যের ব্যাপারে আপনি কতটা আশাবাদী?

মুশফিক ঃ আত্মবিশ্বাস তো অবশ্যই আছে। একইসঙ্গে এটাও মনে রাখতে হবে যে শুধু আত্মবিশ্বাস দিয়ে সফল হওয়া যায় না। স্কিলেও আমাদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করতে হবে। আমাদের সে বিশ্বাসটা আছে। সেরা ক্রিকেটটা খেলতে পারলে লক্ষ্য পূরণ সম্ভব।

প্রশ্ন ঃ জিম্বাবুয়ে সফরটা বেসরকারী ছিল। কিন্তু এটা অফিসিয়াল ট্যুর। এখানে ভাল করতে পারলে টি-২০ র‌্যাংকিংয়ে চলে আসবে বাংলাদেশ। সে দৃষ্টিকোণ থেকে এ সফর কতটা গুরুত্বপূর্ণ?

মুশফিক ঃ টি-টোয়েন্টি আমরা খুব ভালো খেলিনি। তাছাড়া আফগানিস্তানেরও টি-২০ র‌্যাংকিং আছে কিন্তু আমাদের নেই। তাই আয়ারল্যান্ড গিয়ে জিতে র‌্যাংকিংয়ে নিজেদের ভালো একটা জায়গা তৈরি করার লক্ষ্য আছে। ইনশাল্লাহ সেটা করবো।

প্রশ্ন ঃ আপনার দলের বর্তমান কন্ডিশন কি?

মুশফিক ঃ তামিম ছাড়া এ মূহূর্তে সবাই ফিট। তামিমও দ্রুতই ফিট হয়ে উঠবে।

প্রশ্ন ঃ কোচের নতুন পরিকল্পনাগুলো কতটা কাজে দিচ্ছে?

মুশফিক ঃ নতুন কিছু তো অবশ্যই আছে। যেমন কিছু পরিকল্পনায় নতুনত্ব আছে। আগেও প্ল্যানিং হয়েছে। অনুশীলন হয়েছে। তবে এবারের ট্রেনিং অনেক বেশি স্পেসিফিক হচ্ছে। এগুলো বারবার করলে অনেক লাভবান হব। কোচ বিশ্লেষন করে আমাদের একেক জনের একেক সমস্যা ধরে কাজ করছে। সেগুলো নিয়ে আমরা কাজ করছি।

প্রশ্ন ঃ আজকের (শনিবার) সেশনটা কি ছিল?
মুশফিক ঃ মূলত প্ল্যানিং। ১০ বছর পর আমরা কোথায় যেতে চাই। সামনে টি-টোয়েন্টিতে বিশ্বকাপ আছে। সেখানে আমাদের লক্ষ্য কি? সে লক্ষ্যে পৌঁছাতে হলে কি কি করতে হবে, এসব। আগেও এরকম একটা সেশন হয়েছিল। এটা মূলত তারই ধারাবাহিকতা’।

প্রশ্ন ঃ এই প্রথম বিদেশি কোন লিগে খেলার সুযোগ পাচ্ছেন। সেটাও টি-টোয়েন্টিতে বিশ্বকাপের দেশে। কেমন লাগছে?

মুশফিকুর রহীম ঃ অবশ্যই ভাল। আমরা যেহেতু টি-টোয়েন্টিতে বিশ্বকাপ খেলব। তার আগে জিম্বাবুয়েতে খেললাম। এখন আয়ারল্যান্ডের গিয়ে আর্ন্তজাতিক ম্যাচ খেলবো। ত্রিনিদাদে খেলবো। এসএলপিএলে কয়েকজন খেলবো। বিশ্বকাপের আগে অনেকগুলো ম্যাচ খেলার সুযোগ পাচ্ছি। একটা খেলা বারবার খেলতে পারাটা অবশ্যই ভাল দিক।

প্রশ্ন ঃ আইপিএলে দুই জন ছিল। এসএলপিএলে পাঁচজন যাচ্ছে। আপনার কি মনে হয় বিদেশি লিগে বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের চাহিদা আগের চেয়ে বেড়েছে?

মুশফিক ঃ বাংলাদেশী ক্রিকেটারদের চাহিদা অবশ্যই বেড়েছে। আইপিএলে তামিম খেলার সুযোগ পায়নি। কিন্তু সাকিব দুর্দান্ত খেলেছে। গতবারও ভাল খেলেছিল। এর একটা প্রভাব তো অবশ্যই আছে। তাছাড়া এশিয়া কাপে বাংলাদেশ খুব ভাল রেজাল্ট করেছে। এগুলোর প্রভাবেই সম্ভবত এসএলপিএল কিংবা অন্যান্য লিগে আরও বেশি সংখ্যক বাংলাদেশী ক্রিকেটার সুযোগ পাবে।

খেলাধূলা