নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে তেল রপ্তানি করতে বেসরকারি কোম্পানির মাধ্যমে বাণিজ্য করার পরিকল্পনা করেছে ইরান। শনিবার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তারা বেসরকারি সহেযাগীর মধ্যস্থতায় ইউরোপীয় তেলশোধক কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি বদ্ধ হয়েছেন।
পেট্রোলিয়ামজাত দ্রব্যের রপ্তানিকারক ইউনিয়নের প্রধান হাসান খসরুজারদি জানিয়েছেন, এক্সপোর্টারস ইউনিয়ন এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও তেল মন্ত্রণালয়ের মধ্যে চুক্তি হয়েছে। এতে করে ইরানি তেলবাহী ট্যাঙ্কারের শিপিং বীমা নিষিদ্ধ করে ইউরোপীয় ইউনিয়নের আরোপিত অবরোধ এড়ানো যাবে। তবে এ ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু জানাতে তিনি রাজি হননি।
প্রসঙ্গত, ইরানের পরমাণু কর্মসূচি বিতর্কের জেরে গত ১ জুলাই ইরানের অপরিশোধিত তেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। এতে করে ইরানের তেল রপ্তানি প্রায় ৫০ শতাংশ কমে গেছে। ফলে দেশটি কোটি কোটি ডলার রাজস্ব হারাচ্ছে।
খসরুজারদি জানিয়েছেন, ইউরোপিয়ান তেলশোধক কোম্পানির সঙ্গে তাদের আলোচনা চূড়ান্ত হয়েছে এবং তারা একটি চুক্তিতেও পৌঁছতে সক্ষম হয়েছেন। চুক্তি অনুযায়ী ইরানের তেল রপ্তানির ২০ শতাংশ এ বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে রপ্তানি হবে।
তবে ইউরোপের কোন কোন তেলশোধক কোম্পানি তাদের মাধ্যমে তেল আমদানিতে সম্মত হয়েছে তা বলতে রাজি হননি খসরুজারদি।
উল্লেখ্য, ইরানরে অপরিশোধিত তেল রপ্তানির একমাত্র অনুমিত প্রতিষ্ঠান হলো ন্যাশনাল ইরানিয়ান অয়েল কোম্পানি (এআইওসি)। এখন পশ্চিমা অবরোধের মুখে তারা বিকল্প কোম্পানির মধ্যস্থতায় তেল রপ্তানির পরিকল্পনা করছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন ইরানি তেল আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপের আগে ইরান তার অপরিশোধিত তেলের ৫০ শতাংশই রপ্তানি করত ইউরোপে। তবে শিপিং বীমার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর এশিয়াতে রপ্তানিতেও সমস্যায় পড়ে দেশটি।
এশিয়ার মধ্যে সবচে বড় আমদানিকারক দেশ জাপান এ সমস্যার কারণে জুলাইয়ে ইরান থেকে কোনে তেল আমদানি করেনি।