সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়িয়েছে। উচ্চহারে প্রবৃদ্ধি ও প্রবাসী আয়সহ সব আর্থসামাজিক সূচকে ফিরে এসেছে ইতিবাচক ধারা।
তিনি আরো বলেন, এ পরিস্থিতিতে বিশ্ব সমাজ যখন দেশের প্রশংসা করছে, তখন বিএনপি ধ্বংস ছাড়া কিছু দেখতে পায় না। আসলে তাদের সমস্যা মনস্তাত্ত্বিক। তারা সৃষ্টিতে নয়, ধ্বংসাত্মক প্রবণতায় ভুগছে।
বৃহস্পতিবার তার সরকারি বাসভবনে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে একথা বলেন তিনি। গণতন্ত্র এগিয়ে যাওয়ার পথে বিএনপির নেতিবাচক ও অতি ক্ষমতা রাজনীতিতে প্রধান বাধা বলে মন্তব্য করেন সেতুমন্ত্রী।
তিনি বলেন, বিএনপি ধ্বংসাত্মক রাজনীতির ধারক ও বাহক। গণতন্ত্র এগিয়ে যাওয়ার পথে বিএনপির নেতিবাচক ও অতিক্ষমতা রাজনীতির প্রধান বাধা।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি এতদিন কিছুই দেখতে পেতো না, এখন দেখতে পায় ‘ধ্বংস’। তবে আওয়ামী লীগ এবং দেশের জনগণ ধ্বংস নয়, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এখন সৃষ্টিশীল বাংলাদেশ বিনির্মাণের মহাযজ্ঞ চলছে, তা দেখতে পায়।
সরকার নাকি গণতন্ত্র ও অর্থনীতি ধ্বংস করে দিয়েছে- বিএনপি নেতাদের এমন মিথ্যাচার বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বে সারাদেশে চলছে সমৃদ্ধির সোপানে নতুন উচ্চতা নির্মাণের নিরলস প্রয়াস। যাদের হাত ধরে এসেছে স্বাধীন বাংলাদেশ, তারা ধ্বংস নয়, এদেশকে গড়ে তোলার লক্ষ্যেই কাজ করছে অবিরাম। অপরদিকে যারা স্বাধীন স্বদেশ চায়নি, তারাই এখন দেশের ধ্বংস চায়।
বিএনপি দেশকে পিছিয়ে দিতে চিরাচরিত পাকিস্তানি ভাবধারার দৃষ্টি সীমায় রাষ্ট্রের অর্জন আর সক্ষমতার সুবর্ণ রূপ দেখতে পায় না উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা শেখ হাসিনার অর্জনে প্রতিহিংসার আগুনে দগ্ধ হচ্ছে প্রতিনিয়ত।
তিনি বলেন, দেশে কোনো স্বৈরতন্ত্র নেই। আছে গণতন্ত্র, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ আর বাক স্বাধীনতা। আর তাই বিএনপি প্রতিনিয়ত সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলতে পারছে। পারছে অবিরাম বিষোদগার করতে। দেশে গণতন্ত্র আছে বলেই নিয়মিত নির্বাচন ও উপ-নির্বাচন হছে। বিএনপিও নিয়মিত অংশ নিতে পারছে এবং জয়লাভও করছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিতে বিএনপি কোনো দায়িত্বশীল ভূমিকা তো রাখেনি, বরং পদে পদে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। নির্বাচনে অংশ নিয়ে বিএনপি ফলফল পাওয়ার আগেই তা প্রত্যাখ্যান করেছে, যা প্রকারান্তরে জনগণের রায়কেই অপমান করা।
ওবায়দুল কাদের বলেন, করোনা মহামারিতে শেখ হাসিনার মানবিক নেতৃত্বের কারণে একজন মানুষও না খেয়ে মরেনি। আর এটিই বিএনপির কষ্টের কারণ।
সেতুমন্ত্রী বলেন, জনগণ এখন আর সমালোচনার কাসুন্দি ঘাঁটা পছন্দ করে না। তারা উন্নয়নের ধারাবাহিকতা দেখতে চায়, প্রতিষ্ঠা পেতে চায় আত্মনির্ভরশীল জাতি হিসেবে। আর এজন্যই বিএনপির ধ্বংসাত্মক কর্মসূচি ও মিথ্যাচারে জনগণের সাড়া নেই।
ওবায়দুল কাদের বলেন, পরিবর্তিত বিশ্ব পরিস্থিতির কারণে রাজনীতিতে জনসম্পৃক্ত ইস্যু খুঁজে পাওয়ার ব্যর্থতা বিএনপির নেতৃত্বের অক্ষমতা ছাড়া আর কিছুই নয়।