দীর্ঘমেয়াদী বাণিজ্য সুবিধা পেতেই মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। ‘তিনি বলেন, ‘দীর্ঘমেয়াদি বাণিজ্য সুবিধার জন্য পিটিএ বা এফটিএর মত মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি করা হচ্ছে। বৈদেশিক বাণিজ্যে শুল্ক আয় হ্রাসের সম্ভাবনা থাকলেও দীর্ঘ মেয়াদে আমরা সুফল পাবো। প্রতিযোগিতামূলক বিশ^বাণিজ্যে এগিয়ে যেতে হলে দক্ষতার সাথে বাণিজ্য করতে হবে।’
বুধবার ঢাকায় ‘ভূ-অর্থনীতি ও বাংলাদেশ’ বিষয়ক এক ভার্চ্যুয়াল প্ল্যাটফর্ম সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ), বেসরকারি গবেষণা সংস্থা রিসার্চ পলিসি ইনটিগ্রেশন ফর ডেভলপমেন্ট (র্যাপিড) এবং ফ্রেডরিক ইবার্ট স্টিফটাং (এফইএস) যৌথভাবে সেমিনারের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বাণিজ্য সচিব ড. মো. জাফর উদ্দীন,মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই)’র সভাপতি ব্যারিস্টার নিহাদ কবীর, সাবেক পররাষ্ট্র সচিব ও রাষ্ট্রদূত এম হুমায়ুন কবীর, এ্যাপেক্স ফুটওয়্যার লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর,এফইএস এর আবাসিক প্রধান টিনা ব্লুম, র্যাপিড নির্বাহী পরিচালক ড. এম আবু ইউসুফ, এফইএস প্রকল্প সমন্বয়ক সাধন কুমার দাস প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।
র্যাপিড চেয়ারম্যান ড. এম এ রাজ্জাক সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
ইআরএফ সভাপতি শারমিন রিনভী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এবং সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এস এম রাশিদুল ইসলাম।
বাণিজ্য মন্ত্রী বলেন,বিশ^ব্যাপী এখন বাণিজ্য কুটনীতি চলছে। আমাদের এ সুবিধা নিতে হবে। কূটনীতিকদের দেশের রপ্তানি বাণিজ্য বৃদ্ধি করতে ভুমিকা রাখতে হবে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশও কাজটি শুরু করেছে। কুটনীতিকদের এ বিষয়ে ভূমিকার রাখার পরামর্শ দেন তিনি।
টিপ মুনশি বলেন, এশিয়া এখন বাণিজ্যের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ভোক্তা বিবেচনায় এশিয়াকে গুরুত্ব দেয়ার সময় এসেছে। এশিয়ার মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। মানুষ এখন মানসম্পন্ন পণ্য কিনতে চায়। ফলে এশিয়া বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বাজার হতে পারে। এশিয়ার বাজার ধরে রাখার জন্য পদক্ষেপ নেয়ার সময় এসেছে। রপ্তানিকারকগণও এখন এশিয়ার বাজারগুলোকে গুরুত্ব দিচ্ছে।
টিপু মুনশি বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের বাণিজ্যযুদ্ধ ও কোভিড-১৯ বিশ^বাণিজ্যে প্রভাব ফেলেছে। বাংলাদেশও এর বাইরে নয়। বাংলাদেশ সরকারের সময়োপযোগি সিদ্ধান্ত গ্রহণের ফলে বিশে^র মন্দা অর্থনীতির মাঝেও আমরা ভালভাবেই টিকে আছি। বাংলাদেশ রপ্তানি পণ্য সংখ্যা বৃদ্ধির প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। আশা করা যায় কোভিড-১৯ পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ ভালভাবেই এগিয়ে যাবে।