সিএনজি অটোরিক্সা মালিক সমিতির ধর্মঘট ১১ ও ১২ জুলাই

সিএনজি অটোরিক্সা মালিক সমিতির ধর্মঘট ১১ ও ১২ জুলাই

সিএনজি অটোরিক্সার জমা ও ভাড়া বৃদ্ধিসহ ১০ দফা দাবিতে ১১ ও ১২ জুলাই ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘট ডেকেছে ঢাকা মহানগর সিএনজি অটোরিক্সা ব্যবসায়ী মালিক সমিতি। একই দিনে অভিন্ন দাবিতে চট্টগ্রামের ধর্মঘট পালিত হবে বলেও সংগঠনটির পক্ষ থেকে জানানো হয়।

শুক্রবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন সংগঠনটির সভাপতি আলহাজ্ বরকত উল্লাহ ভুলু।

তিনি বলেন, ১০ জুলাই তারিখের মধ্যে যদি আমাদের দাবি বাস্তবায়নে সরকার আগ্রহী না হয় তাহলে ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘট পালন করা হবে। এরপরেও দাবি আদায় না হলে পরবর্তীতে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।

লিখিত বক্তব্যে সভাপতি বলেন, আমরা এর আগে ৯ দফা দাবিতে ৫ ও ৬ জুন ২০১১ তারিখে ধর্মঘট ডেকেছিলাম। ওই সময়ে সরকারের আশ্বাসের ভিত্তিতে ধর্মঘট পিছিয়ে ৩ ও ৪ জুলাই করা হয়। সরকার বারবার প্রতিশ্রুতি দিয়েও তা রক্ষা করছে না।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বরকত উল্লাহ ভুলু বলেন, আমরা এখন সরকারি নির্ধারিত ৬০০ টাকার বেশি নিচ্ছি এ কথা মিথ্যা নয়। আমরা ৭০০ টাকা নিচ্ছি। বিষয়টি সরকারকে জানিয়েই করা হচ্ছে।

এতে সরকারের অনুমোদন আছে কিনা জানতে চাইলে বলেন সরকার এখনও অনুমোদন দেয়নি। মিটারে সিএনজি পাওয়া যাচ্ছেনা এ অভিযোগ প্রসঙ্গে বলেন একবারে মানছে না একথা সঠিক নয়। হঠাৎ করে ২ বার সিএনজির ভাড়া বাড়ানোর কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এর জন্য সিএনজি চালক বা মালিকরা নয় সরকারই দায়ী বলেও দাবি করেন তিনি।

এসময় সিএনজি অটোরিক্সা মালিকদের দৈনিক জমা ৬০০ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ৮৫০ টাকা নির্ধারণ করা। একই সঙ্গে আনুপাতিক হারে মিটার ভাড়া বৃদ্ধি, ফিটনেস সাটিফিকেট করার সময় এনবিআর প্রত্যেক মালিকের টিন সাটিফিকেট প্রদর্শন ও ২হাজার ৫০০ টাকা আয়কর বাধ্যতামুলক করে জারিকৃত নির্দেশনা প্রত্যাহার, ৫ হাজার টাকা সিএনজি অটোরিক্সার বিলি-বণ্টন বিষয়ে যে মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে তা নিস্পতি না হওয়া পর্যন্ত কোন রকম কার্যক্রম থেকে বিরত থাকা, অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করার অপরাধে রেকারিং না করে যানবাহন আইনে মামলা দায়ের করা, প্রাইভেট সিএনজি ভাড়ায় চালানো হলে স্থায়ী ডাম্পিংয়ের ব্যবস্থা করা, সিএনজি মূল্য বৃদ্ধির প্রক্রিয়া বন্ধ করাসহ ১০দফা দাবি জানানো হয়।

বাংলাদেশ