রাশিয়ায় বেসরকারি প্রতিষ্ঠান (এনজিও) যারা রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত এবং বিদেশি অনুদান নেয় তাদের ‘বিদেশি এজেন্ট’ নামে নিবন্ধন করার বাধ্যবাধকতা রেখে নতুন আইন হতে যাচ্ছে। এ সংক্রান্ত একটি বিল নিয়ে খুব শিগগির পার্লামেন্টে বিতর্ক হবে বলে জানা গেছে।
রুশ সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, এ আইনের ধারাটি সংশ্লিষ্ট সব বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের অনলাইন এবং মুদ্রিত নথিপত্রে যুক্ত করতে হবে।
এ আইন দিয়ে ভিন্ন মতাবলম্বীদের দমন করার চেষ্টা করা হবে এমন অভিযোগ তুলে অনেকে এর সমালোচনা করলেও ক্রেমলিন বলছে, অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে বাইরের দেশের হস্তক্ষেপ চেষ্টা থেকে রাশিয়াকে রক্ষা করার জন্য এ বিলের দরকার আছে।
এ বিলের আওতায়, রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত এবং বিদেশি অনুদানে চলে এমন এনজিওতে নিয়মিত হিসাব নিরীক্ষা চালানো হবে এবং তারা তাদের কর্মকাণ্ডের বিষয়ে দ্বিবার্ষিক প্রতিবেদন দাখিলে বাধ্য থাকবে।
অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে বাইরের হস্তক্ষেপের ব্যাপারে রাশিয়ার অভিযোগ, বিদেশি সরকার রাশিয়ার রাজনৈতিক পরিবর্তন আনার জন্য এনজিওগুলোকে ব্যবহার করছে।
বিলের একজন প্রণেতা ক্ষমতাসীন দলের সাংসদ ভিয়াচেস্লাভ নিকোনভ বলেন, “এভাবে ক্ষমতা পরিবর্তনের অসংখ্য উদাহরণ আছে। এর মধ্যে রয়েছে- যুগোস্লাভিয়া, সম্প্রতি লিবিয়া, মিসর, তিউনিসিয়া, কসভো- বিশ্বে এমন ঘটনা ঘটছে। কিছু সরকার অন্য সরকার পরিবর্তনে কাজ করছে।”
তিনি বলেন, “বাইরের প্রভাব থেকে রাশিয়ার গণতন্ত্রকে রক্ষার প্রয়োজন আছে।”
অবশ্য বিলের সমালোচকরা বলছেন, রাশিয়ার সুশীল সমাজের কণ্ঠরোধ করতেই এটি করা হচ্ছে।
রাশিয়ার সম্প্রতিক পার্লামেন্ট এবং প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ব্যাপক ভোট জালিয়াতির প্রমাণ উপস্থাপন করে বিদেশি অনুদানপুষ্ট এনজিও গলোস। অপরদিকে রাশিয়ার অভিযোগ, দেশের পরিস্থিতি পাল্টে দেওয়ার লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্র এনজিওগুলোকে ব্যবহার করছে।