২০ শতাংশ ভূমি বনায়নের আওতায় আনার পরিকল্পনা

বর্তমানে দেশের ১৭ শতাংশ ভূমি বনায়নের আওতায় রয়েছে। ২০১৫ সালের মধ্যে ২০ শতাংশ ভূমি সরকারি ও বেসরকারি বনায়নের আওতায় আনার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে সরকার।

বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁও জাতীয় বৃক্ষমেলা প্রাঙ্গণে বৃক্ষমেলা-২০১২ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ তথ্য জানিয়েছেন পরিবেশ ও বনমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

মন্ত্রী বলেন, “বাংলাদেশ বিশ্বের একটি অত্যন্ত জনবহুল দেশ। আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের মাধ্যমে জনগণের মৌলিক চাহিদা পূরণ করতে বর্তমান সরকার বদ্ধপরিকর। এ জন্য বৃক্ষরোপণ অভিযানকে ত্বরান্বিত করে যদি একটি সুখী সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারি, তাহলে আমাদের প্রকৃতি বাঁচবে, সুন্দর হবে পরিবেশ। এজন্য সরকারি এবং জলবায়ু ট্রাস্ট ফান্ডের অর্থায়নে সামাজিক বনায়নের পাশাপাশি উপকূলীয় অঞ্চলকে বনাঞ্চলে সমৃদ্ধশালী করে তোলার জন্য ব্যাপকভাবে বৃক্ষরোপণ ও সংরক্ষণ করা হচ্ছে।”

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের সচিব মেছবাহ উল আলম বলেন, “সরকার এ বছর বৃক্ষরোপণ অভিযানের অংশ হিসেবে সারা দেশে বিভাগ, জেলা ও উপজেলায় বৃক্ষমেলার আয়োজন করেছে। জাতীয় বৃক্ষমেলায় এ বছর প্রচুর জনসমাগম হয়েছে। মেলায় এ পর্যন্ত প্রায় ৮ লাখ চারা বিক্রি হয়েছে, যার মূল্য প্রায় ৪ কোটি টাকা।’’ এ জন্য তিনি ঢাকাবাসী ও মেলায় অংশগ্রহণকারী নার্সারী প্রতিষ্ঠানের সবাইকে আন্তরিক আভিনন্দন জানান।

সভাপতির বক্তব্যে প্রধান বন সংরক্ষক ইউনুচ আলী বলেন, সরকার এবার ব্যাপক বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। বন অধিদফতর বনায়নের জন্য ৮ কোটি ২৪ লাখ চারা উত্তোলন করেছে। ব্যাপক বনায়নের লক্ষ্যে এ বর্ষা মৌসুমে ১৯ হাজার ৯৪০ হেক্টর  উডলট এবং ৪ হাজার ৯৫৫ কি.মি. স্ট্রিপ বাগান সৃজন করা হয়েছে।

গত ৫ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বৃক্ষরোপণ অভিযান ও মাসব্যাপী বৃক্ষমেলা-২০১২ উদ্বোধন করেন। এবারের বৃক্ষমেলায় ১০০টি স্টল স্থাপন করা হয়। ৮টি সরকারি প্রতিষ্ঠান, ৪টি এনজিও এবং ৬৫টি ব্যাক্তিমালিকানাধীন নার্সারি ও প্রতিষ্ঠান এবারের মেলায় অংশগ্রহণ করেছে। এ বছর ফলদ, বনজ, ভেষজ এবং বিরল প্রজাতির ৩১০ ধরনের চারা প্রদর্শন ও বিক্রি হয়েছে।

বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষিকা, ছাত্র-ছাত্রী, সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সচেতন নাগরিক এবং বৃক্ষসম্পর্কে উৎসাহী সকল স্তরের মানুষ মেলায় অংশ নেন।

অনুষ্ঠান শেষে মন্ত্রী মেলা উপলক্ষে আয়োজিত চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী ছাত্র-ছাত্রীদের এবং মেলায় অংশগ্রহণকারী শ্রেষ্ঠ নার্সারিগুলোকে পুরস্কার প্রদান করেন।

অর্থ বাণিজ্য