আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেকের ম্যাচে স্মরণীয় পারফরম্যান্স করলেন জ্যাকব ডাফি। তার ম্যাচসেরা পারফরম্যান্সে পাকিস্তানকে হারিয়ে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু করলো নিউ জিল্যান্ড। শুক্রবার অকল্যান্ডে সফরকারীদের বিপক্ষে ৫ উইকেটে জিতেছে কিউইরা।
টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে ডাফির বোলিং তোপে পড়েছিল পাকিস্তান। অধিনায়ক শাদাব খানের ব্যাটে শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেটে ১৫৩ রান করে তারা। জবাবে ১৮.৫ ওভারে ৫ উইকেটে ১৫৬ রান করে নিউ জিল্যান্ড।
ডাফি প্রথম ওভারেই খালি হাতে ফেরান আব্দুল্লাহ শফিককে। নিজের দ্বিতীয় ওভারে আরও ভয়ঙ্কর ২৬ বছরের এই ডানহাতি পেসার। ইনিংসের চতুর্থ ওভারের পঞ্চম ও ষষ্ঠ বলে তার শিকার মোহাম্মদ রিজওয়ান (১৭) ও মোহাম্মদ হাফিজ (০)।
পরের ওভারে বল হাতে নিয়ে হায়দার আলীকে (৩) ফিরতি ক্যাচে ড্রেসিংরুমের পথ দেখান স্কট কুগেলেইন। তাতে টানা তিন বলে পাকিস্তানের ৩ উইকেটের পতন ঘটে। ইশ সোধির স্পিনে দলীয় ৩৯ রানে পঞ্চম ব্যাটসম্যান হিসেবে মার্টিন গাপটিলের ক্যাচ হন খুশদিল শাহ (১৬)। ইমাদ ওয়াসিমকে নিয়ে অধিনায়ক শাদাব খান ৪০ রানের জুটি গড়ে এই ধাক্কা না সামলালে বিপদ আরও বাড়তো।
এই জুটি ভাঙেন কুগেলেইন, ইমাদকে ১৯ রানে আউট করে। পরে ফাহিম আশরাফের সঙ্গে ৩৫ রানের জুটিতে দলীয় স্কোর একশ পার করেন শাদাব। ৩২ বলে ২ চার ও ৩ ছয়ে ৪২ রানে আউট হন পাকিস্তানের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক। তিনি ডাফির চতুর্থ শিকার।
শেষ দিকে ফাহিমের ১৮ বলে ৩১ রানের ঝড়ো ব্যাটিং পাকিস্তানের স্কোর দেড়শ ছাড়াতে ভূমিকা রাখে।
ডাফি ৪ ওভারে ৩৩ রান দিয়ে চার উইকেট নিয়ে নিউ জিল্যান্ডের সেরা বোলার। কুগেলেইন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তিন উইকেট নেন।
২১ রানের মধ্যে লক্ষ্যে নামা নিউ জিল্যান্ডের দুটি উইকেট তুলে নিয়ে উত্তেজনা ছড়ায় পাকিস্তান। গ্লেন ফিলিপস (২৩) ও মার্ক চ্যাপম্যানের (৩৪) সঙ্গে টিম সেইফার্ট ৪৪ ও ৪৫ রানের দুটি গুরুত্বপূর্ণ জুটি গড়ে স্বস্তি ফেরান।
চাপম্যানের সঙ্গে ক্রিজে থেকে দলীয় স্কোর একশ পার করে মাঠ ছাড়েন সেইফার্ট। ৩৫ বলে তৃতীয় হাফসেঞ্চুরি হাঁকানো এই ব্যাটসম্যান মাঠ ছাড়েন ৫৭ রানে। তার ৪৩ বলের ইনিংসে ছিল ৬ চার ও ১ ছয়। শেষ দিকে অধিনায়ক মিচেল স্যান্টনারের (১২*) সঙ্গে জেমস নিশামের (১৫*) অপরাজিত ২৭ রানের জুটিতে ৭ বল বাকি থাকতে জয় পায় নিউ জিল্যান্ড।
পাকিস্তানের পক্ষে হারিস রউফ সর্বোচ্চ তিন উইকেট নেন। দুটি পান শাহীন শাহ আফ্রিদি।