পাঁচ মাস আগের সবশেষ দেখায় হারতে বসা ম্যাচে দলকে বাঁচিয়েছিলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। সুবর্ণ সুযোগ পেয়েও এবার আর পারলেন না নায়ক হতে। বরং তার ব্যর্থতায় আতালান্তার বিপক্ষে ঘরের মাঠে পয়েন্ট হারিয়েছে লিগ চ্যাম্পিয়নরা। জুভেন্টাস স্টেডিয়ামে বুধবার স্থানীয় সময় বিকেলে সেরি আর ম্যাচটি ১-১ গোলে ড্র হয়েছে।
নিজেদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝিতে ম্যাচের ৫ম মিনিটে গোল খেতে বসেছিল আতালান্তা। তবে ছয় গজ বক্সের বাইরে থেকে অবিশ্বাস্যভাবে উড়িয়ে মারেন রোনালদো। সাত মিনিট পর যে ভুল করেন পর্তুগিজ তারকা, ক্যারিয়ারে এমন মিস খুব কমই করেছেন তিনি। মোরাতার শট নেওয়ার যথেষ্ট সুযোগ থাকলেও তা না নিয়ে তিনি পাস দেন পেনাল্টি স্পটের কাছে, সেখানে বলে ঠিকমতো পা লাগাতে পারেননি রোনালদো। জটলার মধ্যে আলগা বল পেয়ে টোকাতেই কাজ সারতে পারতেন মোরাতা; কিন্তু নিজেকে অফসাইডে ভেবেই কি-না, আলতো করে ব্যাকহিল করার চেষ্টা করেন তিনি। অফসাইডের পতাকা অবশ্য ওঠেনি, যা দলটির হতাশা বাড়িয়ে দেয় বহুগুনে।
২৯তম মিনিটে দারুণ নৈপুণ্যে দলকে এগিয়ে নেন চিয়েসা। রদ্রিগো বেন্তানকুরের পাস ধরে ডিফেন্ডারদের বাধা এড়াতে ডি-বক্সের বাইরে আড়াআড়ি খানিকটা এগিয়ে ডান পায়ের জোরালো শটে ঠিকানা খুঁজে নেন ইতালিয়ান ফরোয়ার্ড। ইউভেন্তুসের হয়ে সেরি আয় এটা তার প্রথম গোল। তিন মিনিট পর সমতায় ফিরতে পারত আতালান্তা। তবে ডি-বক্সে ঢুকে দুভান জাপাতার কোনাকুনি শট ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক ভয়চেখ স্ট্যাসনি।
৫৭তম মিনিটে একক নৈপুণ্যে সমতা ফেরান ফ্রয়লার। ডি-বক্সের বাইরে থেকে এই সুইস মিডফিল্ডারের শট স্ট্যাসনিকে ফাঁকি দিয়ে ক্রসবারের নিচের দিকে লেগে জালে জড়ায়।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুর দিকে বেশ কয়েকটি ফাউলের ঘটনায় দুই দলের খেলোয়াড়দের মাঝে উত্তেজনা ছড়ায়। এরই মাঝে ৬০তম মিনিটে চিয়েসা ডি-বক্সে ফাউলের শিকার হওয়ায় পেনাল্টি পায় জুভেন্টাস। কিন্তু আগের দুই ম্যাচে স্পট কিকে চার গোল করা রোনালদোর দুর্বল শট অনায়াসে ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক।
৭৩তম মিনিটে স্ট্যাসনির নৈপুণ্যে বেঁচে যায় স্বাগতিকরা; কর্নারে ক্রিশ্চিয়ান রোমেরোর হেড ঝাঁপিয়ে ফেরান গোলরক্ষক। ৮২তম মিনিটে আলেহান্দ্রো গোমেসের কোনাকুনি শটও ঝাঁপিয়ে ঠেকান স্ট্যাসনি।
এর মাঝে রোনালদোর সঙ্গে ওয়ান-টু-ওয়ান করে চিয়েসার নেওয়া জোরালো শট ঠেকিয়ে দলকে লড়াইয়ে রাখেন আতালান্তা গোলরক্ষক। ৮৭তম মিনিটে ডি-বক্সের বাইরে থেকে পাঁচবারের বর্ষসেরা ফুটবলারের নেওয়া বাঁকানো শট ক্রসবারের একটু ওপর দিয়ে চলে যায়।
মৌসুমের শুরু থেকে বারবার হোঁচট খাওয়া জুভেন্টাসের এটি ষষ্ঠ ড্র। সবশেষ ১৯৮৪-৮৫ আসরে লিগের প্রথম ১২ রাউন্ডে অন্তত ছয়টি ড্র করেছিল প্রতিযোগিতার সফলতম দলটি।
ছয় জয়ে ১২ ম্যাচে ২৪ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে টানা নয়বারের চ্যাম্পিয়নরা। ১১ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে দলটি আছে আটে।