শেখ হাসিনা-নরেন্দ্র মোদী শীর্ষ বৈঠক আগামীকাল। বেলা ১১টায় ভার্চুয়াল বৈঠকে যুক্ত হবেন দুই প্রধানমন্ত্রী। উদ্বোধন হবার কথা রয়েছে চিলাহাটি-হলদিবাড়ি লাইনে ট্রেন চলাচল। এছাড়া বৈঠকে চার থেকে পাঁচটি সমঝোতা স্মারক সই হবার কথা রয়েছে।
মুজিব বর্ষের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ঢাকায় আসার কথা ছিল ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। করোনার কারণে সেই সফর স্থগিত হয়। ৫০ তম বিজয় দিবসের আয়োজনেও যোগ দেবার ইচ্ছে ছিল মোদীর, শেষ পর্যন্ত তা রূপ নিচ্ছে ভার্চুয়াল বৈঠকে।
বৈঠকে বেশ কিছু সমঝোতা স্মারক হবার কথা রয়েছে। ৫৫ বছর পর চিলাহাটি-হলদিবাড়ি রেল যোগাযোগ চালু হবে। এই রেলপথে আগামী ২৬শে মার্চ ঢাকা শিলিগুড়ি রুটে প্রথম যাত্রীবাহী ট্রেন চলার কথা।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন বলেন, চলমান মহামারির মধ্যে দু’দেশের মধ্যে এখন থেকে ‘এয়ার বাবল এরেঞ্জমেন্টের’ আওতায় পুনরায় আকাশপথে যোগাযোগ স্থাপিত হয়েছে। ঢাকা দু’দেশের মধ্যে স্থল ও রেলপথেও সাধারণ মানুষের ভ্রমণ পুনরায় চালু করতে ইচ্ছুক। তারা ভার্চুয়ালি চিলাহাটি-হলদিবাড়ি রেল রুটটি পুনরায় চালু করবেন। এরফলে ভারতের কুচবিহারের সাথে বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের চিলাহাটির মধ্যে সংযোগ পুনঃস্থাপিত হবে। এই রুট দিয়ে একটি কার্গো ট্রেন দু’দেশে মধ্যে চলাচল করবে।
হাসিনা-মোদী বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে হওয়া ঋণ চুক্তিগুলো বাস্তবায়নসহ নানান ইস্যু গুরুত্ব পাবে। তবে করোনা পরিস্থিতিতে দুদেশের সম্পর্ক বেশি গুরুত্ব পাবে বলে মনে করেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা।
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, এই বৈঠকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পাবে করোনা মহামারি এবং এর ভ্যাকসিনের বিষয়টি। কিভাবে দুটি প্রতিবেশ দেশ এই মহামারি মোকাবেলা করবে তা নিয়েও আলোচনা হতে পারে।
আর এক অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী জানান, তিস্তা এবার এজেন্ডায় থাকছে না তবে যৌথ নদী কমিশনের কারিগরী কমিটির বৈঠক আগামী সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হবে। আর স্বাক্ষরিত হতে পারে ৪ থেকে ৫টি সমঝোতা স্মারক।