বাংলাদেশ দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন।
নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাতটায় জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনে আমিরা হকের সংবর্ধনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
শান্তি মিশনে বাংলাদেশি সৈন্যদের বিশেষ সাফল্যের কথা তুলে ধরে জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন বলেছেন, ‘বাংলাদেশ ভ্রমণের সময় রাজেন্দ্রপুর পিস বিল্ডিং ইনস্টিটিউটের প্রশিক্ষণ কর্মসূচি আমাকে মুগ্ধ করেছে।’
জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধির প্রথম প্রেস সচিব মামুন-অর-রশিদ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বান কি মুন আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ নারীর ক্ষমতায়ন, নারী উন্নয়ন, বেকারত্ব নিরসন, কর্মসংস্থান, গ্রাম উন্নয়নসহ সামগ্রিক বিবেচনায় এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশি নাগরিক আমিরা হকের জাতিসংঘে আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল পদে নিয়োগ পাওয়া বাংলাদেশের আরেকটি সাফল্যের স্বাক্ষর বহন করছে।’
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে জাতিসংঘে আমিরা হকের ৩৫ বছরের বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবনের কথা তুলে ধরেন বাংলাদেশ মিশনের স্থায়ী প্রতিনিধি ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
ড. এ কে আব্দুল মোমেন তার স্বাগত বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দ্বিতীয় মেয়াদে নারী উন্নয়ন ও নারীর ক্ষমতায়নে বিভিন্ন দৃষ্টান্ত তুলে ধরেন। প্রান্তিক জনপদে তৃণমূল নারীর ক্ষমতায়ন থেকে শুরু করে বর্তমান সরকারের মন্ত্রিসভায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, প্রতিরক্ষা, কৃষি ও মহিলা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দিয়েছেন নারীদের হাতে।
ড. এ কে আব্দুল মোমেন বর্তমান জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে উদ্যোগী ভূমিকার কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রভাব মোকাবেলা, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, শিক্ষার প্রসার, নারী উন্নয়ন, যুব কর্মসংস্থান, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, নিরস্ত্রীকরণ ও সর্বোপরি লাগসই উন্নয়নে জাতিসংঘ কাজ করে চলেছে।’
এ সময় তিনি বাংলাদেশসহ উন্নয়নশীল দেশসমূহের অবকাঠামো উন্নয়নে জাতিসংঘের উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানান।
আমিরা হক বর্তমান সরকারের গৃহীত সামাজিক নিরাপত্তা বেস্টনি কর্মসূচি, কর্মসংস্থানের জন্য ন্যাশনাল গ্যারান্টি সার্ভিস স্কিমের কথা তুলে ধরেন।