হিমালয়বেষ্টিত দেশ ভুটানের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করেছে ইসরায়েল। শনিবার দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ ঘোষণা দিয়ে জানিয়েছে ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেওয়ার পরিধি বাড়ছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাবি আশকেনাজি এক বিবৃতিতে বলেন, ভুটানের সঙ্গে সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে এশিয়ায় ইসরায়েলের সম্পর্ক গভীরতর হবে। খবর গার্ডিয়ানের।
গত চার মাসের মধ্যে ইসরায়েলের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করে স্বাভাবিক সম্পর্ক স্থাপন করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন ও সুদান। এসব চুক্তি স্বাক্ষরের পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের প্রভাব মোকাবিলায় আরব দেশগুলোকে ইসরায়েল ঘনিষ্ঠ করে তুলছে ট্রাম্প প্রশাসন। তিনটি আরব দেশের দেখানো পথে গত বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় চতুর্থ আরব দেশে হিসেবে ইসরায়েলের সঙ্গে স্বাভাবিক সম্পর্ক গড়ে তোলার চুক্তি স্বাক্ষর করে মরক্কো।
শনিবার ভুটানের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার চুক্তি স্বাক্ষরের পর এর প্রশংসা করেছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। এক বিবৃতিতে তিনি জানিয়েছেন, ইহুদিবাদী রাষ্ট্রটির সঙ্গে সম্পর্ক প্রতিষ্ঠায় আরও কয়েকটি দেশের সঙ্গে যোগাযোগ চলছে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন ভুটানের পর ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনকারী দেশগুলো হতে পারে সৌদি আরব, ওমান এবং ইন্দোনেশিয়ার মতো ইসরায়েলের বিরোধিতা করে আসা এশিয়ার কয়েকটি দেশ।
বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী অধ্যুষিত দুর্গম দেশ ভুটান। ১০ লাখেরও কম জনসংখ্যার দেশটি বিশ্বায়ন থেকে নিজেদের দূরে রেখে জিডিপি প্রবৃদ্ধির চেয়ে জাতীয় সুখকেই বেশি প্রাধান্য দিয়ে আসছে। কার্বন নিঃসরণ নেতিবাচক পর্যায়ে রাখা দেশটি মূলত পর্যটনের ওপর নির্ভরশীল।