বিএনপির আশকারা, প্রশ্রয় আর পৃষ্ঠপোষকতা পেয়েই সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য অবমাননার মতো ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক, পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
আজ শুক্রবার (১১ ডিসেম্বর) সকালে ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটির উদ্যোগে আয়োজিত করোনা সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের তার সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যুক্ত হন।
এসময় ওবায়দুল কাদের বলেন, জাতির জনকের ভাস্কর্য ভাঙার ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করে কেউ পার পাবে না। এর আশ্রয়-প্রশ্রয় দাতাদেরও খুঁজে বের করা হবে।
গণতন্ত্রহীনতায় নাকি উগ্রবাদের উত্থান ঘটছে, বিএনপি মহাসচিবের এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি একদিকে মুক্তিযুদ্ধবিরোধী এবং উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীকে পৃষ্ঠপোষকতা করে, আবার তারা গণতন্ত্রের কথা বলে? এদেশে উগ্রবাদের উত্থান ঘটে বিএনপির হাত ধরেই।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক জানতে চান, বাংলা ভাই, সায়েখ আবদুর রহমান কাদের সৃষ্টি? সারাদেশে একযোগে বোমা হামলা কাদের আমলে করা হয়েছিলো? তিনি বিএনপি নেতাদের কাছে আরও জানতে চান, ময়মনসিংহের অলকা, ছায়াবানী, পূরবী ও অজন্তা সিনেমা হলে একযোগে বোমা হামলা কাদের আমলে হয়েছিলো?
বিএনপি কথায় কথায় গণতন্ত্রের কথা বলে, তাদের আমলে নাকি দেশে গণতন্ত্র ছিল উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের প্রশ্ন রেখে বলেন, তাহলে বিএনপির আমলে উগ্রবাদ কিভাবে সৃষ্টি হলো?
বিএনপিই ক্ষমতায় টিকে থাকতে আর দেশ থেকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা মুছে দিতে ধর্মীয় উগ্রবাদের সৃষ্টি করেছিলো জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, উগ্রবাদীদের লালন পালন করে সে বিষবৃক্ষকে বড় করেছে বিএনপি।
মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে সরকারকে নাকি কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে, মির্জা ফখরুলের এমন মন্তব্যের জবাবে সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির মুখে মানবাধিকারের কথা ভূতের মুখে রাম রাম ধ্বনির মতে।
দেশের স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানে নির্বাচন উপলক্ষে দলীয় প্রার্থী মনোনয়ন প্রদানের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, তা অনুযায়ী জেনে শুনে, যাচাই বাছাই করে মনোনয়ন দিতে হবে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, যারা আগে বিদ্রোহ করেছে, দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করছে তাদের নাম কেন্দ্রে না পাঠানোর অনুরোধ করছি।
পিছন থেকে এমপি, মন্ত্রী, জেলা ও কেন্দ্রীয় কোন নেতা যদি বিদ্রোহ প্রার্থীদের মদদ দিয়ে থাকে তাহলে তাদের বিরুদ্ধেও দল কঠিন সিদ্ধান্ত নেবে বলে স্পষ্ট জানিয়ে দেন ওবায়দুল কাদের।
ধানমন্ডিতে এসময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, শিক্ষা ও মানবসম্পদ সম্পাদক সামছুন্নাহার চাঁপাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নেতৃবৃন্দ।
বিশ্বব্যপি করোনার প্রাদুর্ভাবের কারণে বদলে দিয়েছে জীবন প্রবাহ, জীবনের চলমান ধারা। করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ, কোথাও কোথাও তৃতীয় ঢেউ আঘাত আনছে।
বাংলাদেশে অতিসম্প্রতি সংক্রমণ এবং মৃত্যুর হার আবার উর্ধ্বমুখী হতে চলেছে, তাই সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পাশাপাশি বাধ্যতামূলক মাস্ক পরার আহ্বান জানান সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।