জমে উঠেছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমী আয়োজিত ‘মুক্তিযুদ্ধের জাতীয় নাট্যোৎসব’। এ উৎসবে প্রদর্শিত হচ্ছে ১০০টি মুক্তিযুদ্ধের নাটাক।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমী আয়োজিত ‘স্বাধীনতার ৪০ বছর ও শিল্পের আলোয় মহান মুক্তিযুদ্ধ’ শীর্ষক কর্মসূচীর আওতায় দেশের দশটি জেলায় মুক্তিযুদ্ধের দশটি বিশেষ নাটক নির্মাণের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছিল। এই পরিকল্পনার আওতায় মুন্সিগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডেমী নির্মাণ করেছে নাটক ‘যুদ্ধগাঁথা’।জেলার স্থানীয় নাট্যকর্মীদের অংশগ্রহণে রুমা মোদকের রচনা ও আকতারুজ্জামানের নির্দেশনায় নির্মিত হয়েছে মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক নাটক ‘যুদ্ধগাঁথা’।
‘মুক্তিযুদ্ধের জাতীয় নাট্যোৎসব’-এ আগামী ৯ জুলাই সন্ধ্যা ৭টায় জাতীয় নাট্যশালার এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হলে ‘যুদ্ধগাঁথা’ নাটকটি প্রদর্শিত হবে। এর আগে নাটকটির প্রদর্শিত হবে মুন্সিগঞ্জের জেলা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে আগামী ৭ জুলাই শনিবার সন্ধ্যায়।
একটি জনপদের প্রাত্যহিক জীবনযুদ্ধ অভাব-অনটনে, উৎসবে-আয়োজনে হঠাৎ নেমে আসে এক বীভৎস বিশ্বাসঘাতকতার করুণ স্মৃতি নিয়ে আবর্তিত হয়েছে নাটকটির কাহিনী। ৪০ বছর আগের এক দুর্বিষহ স্মৃতি উস্কে দেয় স্মৃতি বিভ্রান্ত শেফালীর মা। শেফালীর মাকে সবাই বলে পাগল। কিন্তু এই পাগলামীর অন্তরালে রয়েছে বাঙালি জাতির গভীর আত্মত্যাগের করুণ গাঁথা।’
‘যুদ্ধগাঁথা’ নাটকটিতে অভিনয় করেছেন ফারজানা আশ্রাফী পলক, আফসানা আক্তার, স্বর্নলতা শিমু, আফরিন জাহান কেয়া, কনক আক্তার, সুস্ময় সরকার, মাহমুদুল হাসান অপু, আরফীন শামীম, শামীম হোসেন রাজু, রাকেশ দাস, মুন্না, ইয়াসির, অনিক, নাজমুল, আসাদুর, সোহাগ ও হাবিব।