মেঘনা ও মেঘনা-গোমতী সেতুর জরুরি মেরামত কাজ শুক্রবার থেকে পুরোদমে শুরু হবে বলে জানিয়েছেন যোগাযোগ ও রেলপথমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি।
মন্ত্রী বলেন, মেঘনা ও মেঘনা-গোমতী সেতুর জরুরি মেরামত কাজ আগামী শুক্রবার থেকে পুরোদমে শুরু হতে যাচ্ছে। সেতু দুটির হিঞ্জ বিয়ারিং এবং এক্সপ্লানশন জয়েন্টের কাজ আগামী তিন মাসের মধ্যে শেষ হবে। ক্ষতিগ্রস্থ পিলারের নিচে মাটির ক্ষয়রোধের কাজ বর্ষা মৌসুম শেষ হলে আগামী অক্টোবরে শুরু হবে।
মন্ত্রী বুধবার দুপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মেঘনা ও মেঘনা-গোমতী সেতুর জরুরি মেরামত কাজ পরিদর্শন ও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করার কাজ পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী আসন্ন রমজান এবং ঈদে মানুষের চলাচল নির্বিঘ্নে রাখতে সড়ক-মহাসড়কগুলোকে যে কোনো মূল্যে সচল রাখারও নির্দেশ দিয়েছেন সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের প্রকৌশলীদের। তিনি প্রকৌশলীদের সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, গত বছর বর্ষায় কিছু কিছু সড়কে যে জনদুর্ভোগ হয়েছিল, তার যেন পুণরাবৃত্তি না ঘটে।
এ সময় মন্ত্রী ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করার কাজ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শেষ করতে প্রকল্প কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন। নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ না হলে কিংবা প্রকল্পের কাজে ধীরগতি দেখা দিলে সংশ্লিষ্টদের জবাবদিহি করতে হবে বলেও তিনি জানান।
পরিদর্শন শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্পে কোনো তহবিল ঘাটতি নেই।
মন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সেতু দু’টির জরুরি মেরামত কাজ বাস্তবায়ন করছে। তিনি বলেন, ইতিমধ্যে সেতু দু’টির ওপর দিয়ে চলাচলকারী যানবাহনের ওভারলোড নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলীকে শোকজ
যোগাযোগমন্ত্রী কাঁচপুর থেকে দাউদকান্দি পর্যন্ত সড়ক পরিদর্শনকালে বিভিন্ন স্থানে ডিভাইডার ক্ষতিগ্রস্থ অবস্থায় দেখতে পান। এ সময় সড়কের দুই পাশের অপরিচ্ছন্নতা এবং অব্যবস্থাপনার জন্য সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের নারায়নগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হাবিবুর রহমানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদানের নির্দেশ দেন।