রমজান উপলক্ষে মাসব্যাপী ভ্রাম্যমাণ চিনি বিক্রি শুরু

রমজান উপলক্ষে মাসব্যাপী ভ্রাম্যমাণ চিনি বিক্রি শুরু

আসন্ন পবিত্র শব-ই-বরাত ও রমজান উপলক্ষে ভ্রাম্যমাণ চিনি বিক্রি কর্মসূচি শুরু করেছে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশন (বিএসএফআইসি)।

বুধবার রাজধানীর মতিঝিলস্থ কর্পোরেশনের নির্মাণাধীন নিজস্ব ভবনে চিনি বিক্রির এ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া।

ভবন চত্ত্বরে চিনি বিক্রির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিএসএফআইসি’র চেয়ারম্যান মাহ্মুদ উল হক ভূঁইয়া। অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন সংস্থার পরিচালক এম দেলোয়ার হোসেন।

বিএসএফআইসি জানায়, রমজান উপলক্ষে বাজারে চিনির সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে বিএসএফআইসি ১ লাখ ৭০ হাজার মেট্রিক টন চিনির মজুদ গড়ে তুলেছে। বুধবার থেকে মাসব্যাপী ভ্রাম্যমাণ চিনি বিক্রি কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। প্রতি কেজি চিনির খুচরা মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৬০ টাকা।  তিনটি স্পটে এ চিনি বিক্রি হবে। স্পট তিনটি হচ্ছে- জাতীয় প্রেসক্লাব চত্বর, মতিঝিলস্থ বিএসএফআইসি’র নির্মাণাধীন ভবন এবং দিলকুশায় অবস্থিত চিনিশিল্প ভবন।

একজন ক্রেতা যতো খুশি চিনি কিনতে পারবেন বলেও সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়।

চিনি বিক্রির উদ্বোধনকালে শিল্পমন্ত্রী বলেন, চিনির বাজার অস্থিতিশীল করতে একটি সুবিধাভোগী চক্র দীর্ঘদিন ধরে অপচেষ্টা চালাচ্ছে। সে কারণে পবিত্র রমজানে কোনো দুষ্টচক্র যাতে চিনির বাজারে সরবরাহ নিয়ে কারসাজি করতে না পারে, সে লক্ষ্যে সরকার চিনির মজুদ গড়ে তুলেছে এবং সর্বোচ্চ সতর্ক রয়েছে।

সরকারের পক্ষ থেকে তাদের প্রতিহত করতে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সরকারের কাছে যথেষ্ট পরিমাণ চিনি মজুদ রয়েছে। ফলে সিন্ডিকেট ও কৃত্রিম সংকটকারীরা ছিটকে পড়তে বাধ্য হবে।

প্রসঙ্গক্রমে তিনি আরো বলেন, গত ২০০৯ সালের রমজান মাসে সরকারের কাছে পর্যাপ্ত চিনি মজুদ না থাকায় জনগণকে ক্ষেত্রবিশেষে ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে চিনি কিনতে হয়েছিল।

চলতি বছরে এ ধরনের চক্র যাতে সফল না হতে পারে সেজন্য পর্যাপ্ত মজুদ গড়ে তোলা হয়েছে।

মন্ত্রী আরো বলেন, কৃষিভিত্তিক একমাত্র ভারী শিল্প হিসেবে সরকার চিনি শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে বদ্ধপরিকর। এ শিল্পের সঙ্গে অনেক মানুষের জীবন-জীবিকা জড়িত। চিনির উৎপাদন বাড়াতে সরকার ইতিমধ্যে প্রতি মণ আখে ২৬ টাকা বাড়িয়েছে। জনস্বার্থে ৮০ টাকায় উৎপাদিত চিনি ৬০ টাকায় কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে। দেশের জনগণের কথা চিন্তা করেই এ ভর্তুকি দেওয়া হচ্ছে।

অর্থ বাণিজ্য