জার্মানিতে ষোল শতকে আবিষ্কৃত আমেরিকা ভূখণ্ডের এক বিরল মানচিত্রের সন্ধান পাওয়া গেছে। নতুন আবিষ্কৃত এ ভূখণ্ডের প্রাথমিক মানচিত্র বলে একে ‘আমেরিকার জন্মসনদ’ বলা হয়।
জার্মানিতে পাওয়া এ মানচিত্রটি বিখ্যাত মানচিত্রকর মার্টিন ওয়াল্ডসিমুয়েলারের তৈরি বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই ব্যক্তিই আটলান্টিকের প্রান্তবর্তী এ বিস্তৃত ভূখণ্ডের নাম আমেরিকা রেখেছিলেন।
তবে আগে ধারণা করা হতো ওয়াল্ডসিমুয়েলার আমেরিকার মানচিত্রের চারটি কপি তৈরি করেন। তবে এখন মিউনিখ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের আবিষ্কৃত এ মানচিত্রকে তার পঞ্চম কপি বলে দাবি করা হচ্ছে।
মিউনিখ লুডইউগ ম্যাক্সিমিলিয়া ইউনিভার্সিটির পুরাতন বই বিষয়ের প্রধান সভেন কাটনার বলেন, “মানচিত্রটি দেখে মনে হচ্ছে এটি দ্বিতীয় সংস্করণ। আমরা এখন পর্যন্ত এর দ্বিতীয় কোন অনুলিপি পাইনি। ” তবে তিনি এটিকে দুর্লভ বলেই অভিহিত করেছেন।
ঊনিশ শতকের একটি পুরাতন বইয়ের ভেতর মানচিত্রটি পাওয়া গেছে বলে তিনি জানিয়েছেন। এটি হলুদ কাগজের ওপর কালো কালিতে আঁকানো।
জার্মানির গবেষকরা এখন এ মানচিত্রটি বড় আকারে ছাপার ব্যবস্থা করছে। ইতোমধ্যে ওয়াশিংটন ডিসির কংগ্রেস লাইব্রেরিতে এর আরো বড় আকারের একটি সংস্করণ সংরক্ষণ করা হয়েছে।
৪ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে এটি ইন্টারনেটে ছাড়া হচ্ছে।
আমেরিকার নামকরণের ৫শ’ বছর উপলক্ষে জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেল ২০০৭ সালে মানচিত্রটি যুক্তরাষ্ট্রকে উপহার দেন।
ধারণা করা হয়, ওয়াল্ডসিমুয়েলার ষোল শতকের যে মানচিত্রটি তৈরি করেছিলেন তা আটলান্টিক মহাসাগর ভ্রমণকালে প্রাপ্ত তথ্য থেকে তৈরি করেন। এ কারণে বর্তমান উত্তর এবং দক্ষিণ আমেরিকার ভূ-খণ্ডের যে চিত্র আমরা দেখি তার সঙ্গে ওই মানচিত্রের মিল নেই।
ওয়াল্ডসিমুয়েলার আমেরিকার নামকরণ করেন ইতালীয় সমুদ্র অভিযাত্রী আমেরিগো ভেসপুচির নামে। কারণ তার ধারণা, কলম্বাসের অনেক আগেই আমেরিগো এ ভূখণ্ড আবিষ্কার করেন।