বহুল আলোচিত হিগস-বোসন কণা বা ঈশ্বরকণার অভিন্ন বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন কণা সনাক্ত করেছেন বিজ্ঞানীরা। ভূগর্ভস্থ কণাত্বরক যন্ত্র লার্জ হ্যাড্রন কোলাইডারে (The Large Hadron Collider)এ কণার অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়ার দাবি করেছেন সার্ন গবেষণাগারের বিজ্ঞানীরা। বুধবার যুক্তরাজ্য এবং জেনেভায় আলাদা সংবাদ সম্মেলনে তারা এ দাবির কথা জানান।
কণা পদার্থবিদ্যার সম্ভবত সবচে আলোচিত বিষয় হিগস-বোসন কণা যা ঈশ্বরকণা নামে সমধিক পরিচিত। এখন যদি বিজ্ঞানীদের দাবি সত্যি প্রমাণিত হয় তাহলে পদার্থের ভর সৃষ্টিকারী এ বিশেষ কণার অস্তিত্ব নিয়ে দীর্ঘ ৪৫ বছরের বিতর্কের অবসান ঘটবে।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, লার্জ হ্যাড্রন কোলাইডারে হিগস-বোসন কণার অনুসন্ধানে পরিচালিত প্রথম পরীক্ষণ সিএমএস এ এ ধরণের কণার ব্যাপারে অনেকটাই নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে অ্যাটলাস নামে অপর পরীক্ষণের ফল এখনো জানানো হয়নি।
গবেষকদল দাবি করেছে, প্রাপ্ত উপাত্তে ১২৫ দশমিক ৩ গিগাইলেক্ট্রন ভোল্টের (GeV) কণার মৃদু আঘাত অনুভূত হওয়ার অস্তিত্ব টের পেয়েছেন। এ কণা প্রোটনের ১৩৩ গুণ বেশি ভারী। এ বৈশিষ্ট্য হিগস-বোসন কণার অনুরূপ।
প্রাপ্ত তথ্য হিগস-বোসন কণার অস্তিত্বের শক্তিশালী প্রমাণ দিচ্ছে। তবে নিশ্চিত হওয়ার আগে আরো কিছু প্রশ্নের জবাব মিলতে হবে।
মহাবিশ্ব সৃষ্টি সম্পর্কে জানতে হলে হিগস-বোসন কণার জ্ঞান খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অতিপারমাণবিক এ কণার অস্তিত্ব এখনো তাত্ত্বিক পর্যায়ে রয়েছে। এ কণার তাত্ত্বিক আচরণ বলে দেয়, মহাবিশ্বের প্রাথমিক কণাগুলো কীভাবে ঘনীভূত হয়ে নক্ষত্র, গ্রহ এবং প্রাণ সৃষ্টি করল।
তত্ত্বীয় কণা-পদার্থবিদ্যায় বলা হয়, এ কণার অস্তিত্ব না থাকলে এ মহাবিশ্ব বর্তমান আকার পেত না। গ্রহ নক্ষত্র আর গ্যালাক্সির সমন্বয়ে গঠিত না হয়ে মহাবিশ্ব হত স্যুপের মতো।