বাংলাদেশের জাতীয় রাজনীতিতে আব্দুর রাজ্জাক একটি আদর্শের নাম, একটি ইনস্টিটিউশনের নাম। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে মরহুম আর রজ্জাকের বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের ইতিহাস তুলে ধরে তরুণদের সৎ, নিষ্ঠাবান ও আদর্শবান দেশপ্রেমিক হিসাবে গড়ে তুলতে হবে।
ওয়াশিংটনের অদূরে ভার্জিনিয়ার স্প্রিংফিল্ডে নিরালা রেস্টুরেন্টে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক মরহুম আব্দুর রাজ্জাকের স্মরণে শুক্রবার এক শোক সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন।
যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ও ওয়াশিংটন আওয়ামী লীগ নেতা ড. শাহজাহান মাহমুদের সভাপতিতে¦ অনুষ্ঠিত এই শোকসভা পরিচালনা করেন মাহবুবুল করিম বাচ্চু।
সভায় বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগ নেতা মাহমুদুন নবী বাকী, আলমগীর সোহেল, কৃষিবিদ আনোয়ার হোসেন, লেখক সাংবাদিক শিব্বীর আহমেদ প্রমুখ।
শোক সভার শুরুতেই মরহুমের রূহের মাগফেরাত কামনায় দোয়া ও মুনাজাত করা হয়। পরে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
সভায় বক্তারা মরহুম আবদুর রাজ্জাকের বর্ণ্যাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের ওপর আলোকপাত করে বলেন, পাকিস্তান আমলে ৬ দফা আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন আব্দুর রাজ্জাক। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ছিলেন তিনি। মুক্তিযুদ্ধে আব্দুর রাজ্জাক ভারতের মেঘালয়ে মুজিব বাহিনীর সেক্টর কমান্ডার (মুজিব বাহিনীর ৪ সেক্টর কমান্ডারের একজন) ছিলেন। তিনি মুজিব বাহিনীর একজন সংগঠক ও মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষকও ছিলেন। তিনি দেরাদুনে ভারতের সেনাবাহিনীর জেনারেল উবানের কাছে প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। মুজিব বাহিনী গঠনে অন্যতম রূপকার ছিলেন মরহুম আবদুর রাজ্জাক।