মাইনাস ২০ থেকে ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ভ্যাকসিনের সংরক্ষণ ও পরিবহণের সক্ষমতা নেই বাংলাদেশের। ফলে গ্যাভি ভ্যাকসিন সরবরাহ করলেও তার সবই নেয়া সম্ভব হবে না বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন বাজারে এলেই তিন কোটি ডোজ পাবে বাংলাদেশ। সম্প্রতি এমনই চুক্তি করেছে ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট ও বাংলাদেশের বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেড। একজনকে দুটি ডোজ নিতে হবে। সেই হিসেবে দেড় কোটি মানুষ পাবে ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট এর সরবরাহ করা করোনার ভ্যাকসিন। প্রতি ডোজের দাম পড়বে ৫ ডলার। এরই মধ্যে ভ্যাকসিনের অর্ধেক টাকা ছাড় করেছে অর্থ মন্ত্রাণালয়।
ভ্যাকসিনের চাহিদা পূরণে বাংলাদেশ ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্স গ্যাভির কাছ থেকে ছয় কোটি ৮০ লাখ ডোজ পাবে বাংলাদেশ, এমনটাই জানানো হয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে। তবে সমস্যা রয়েছে ভ্যাকসিন সংরক্ষণের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ নিয়ে। বেশিরভাগ কোম্পানির ভ্যাকসিন যে তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করতে হবে তা নিয়ন্ত্রণের সক্ষমতা নেই বাংলাদেশের।
জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটির সদস্য ডা. ইকবাল আর্সনাল বলেন, ‘আমাদের টিকা যেটা সরবরাহ করা হয় প্লাস টু থেকে প্লাস এইট। আমাদের এখানে দুর্বলতা আছে অবশ্যই মাইনাস ৭০ ডিগ্রিতে এটা সংরক্ষণ করা সম্ভব না। আর দ্বিতীয়ত ওই তাপমাত্রায় যেভাবে পরিবহণ করতে হবে সে ব্যবস্থা আমাদের নেই।’
বৃহস্পতিবার (২৬ নভেম্বর) শেখ রাসেল জাতীয় গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট এর সার্জারি বিভাগ উদ্বোধন করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানান, যেসব ভ্যাকসিনের সংরক্ষণ করার সামর্থ্য আছে শুধু সেগুলোই আনা হবে। তিনি বলেন, ‘৭০-৮০ ডিগ্রি মাইনাস টেম্পারেচারে রাখতে হবে। সে সক্ষমতা আমাদের এখন নাই। কাজেই ওই ভ্যাকসিন এখন আমরা নিতে পারবো না।’
ডাব্লিউএইচও’র নির্দেশনা অনুযায়ী ভ্যাকসিন প্রথমে স্বাস্থ্যকর্মী এবং বয়স্ক মানুষদের দেয়া হবে বলেও জানান মন্ত্রী। জাহিদ মালেক আরো বলেন, ‘ডাক্তার-নার্স ও হাসপাতালে যারা অন্যান্য সেবা দিয়ে থাকেন, যারা অসুস্থ ও ষাটোর্ধ্ব তাদের জন্য কিছুটা প্রেফারেন্স থাকবে।’