নিজেদের জন্য অর্থ-সম্পদের পাহাড় না গড়ে মানবসেবা এবং দেশে সুবিচার ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য জনপ্রতিনিধিদের আহ্বান জানিয়েছেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। একই সঙ্গে নিজের ওপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করে দেশের উন্নয়নের সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়ারও আহ্বান জানান মন্ত্রী।
আজ বৃহস্পতিবার (২৬ নভেম্বর) মৃত্যুবরণকারী চেয়ারম্যান, মেম্বারদের পরিবার এবং চিকিৎসা গ্রহণকারী সদস্যদের মাঝে আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে এ আহ্বান জানান তিনি।
রাজধানীর কাকরাইলে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরে এই অনুষ্ঠান হয়। ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও মেম্বার কল্যাণ ট্রাস্ট এর আয়োজন করে।
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, আমরা মেম্বার, চেয়ারম্যান, এমপি, মন্ত্রী হয়েছি নিজ নিজ এলাকার মানুষকে উন্নত জীবন দেওয়ার জন্য। দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন করার জন্য। অর্থ-সম্পদের মালিক হওয়ার জন্য নয়।
তিনি বলেন, চেয়ারম্যান-মেম্বারদের শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্ধারণ করার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ তিনি জনবান্ধব, মানবপ্রেমী কিংবা দেশপ্রেমিক কিনা। কারণ শিক্ষিত মানুষ হলেই ভালো হবে, আর অশিক্ষিত হলেই খারাপ হবে এমনটা বলা যাবে না।
মো. তাজুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন দেশের ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার কথা বলেছেন, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার কথা বলেছেন, দেশকে ডিজিটাল করার ঘোষণা দিয়েছেন, তখন অনেকেই এসব নিয়ে হাস্যরস করেছে। কিন্তু এখন এসব বাস্তবতা। শেখ হাসিনা যা ঘোষণা দেন তা বাস্তবায়ন করেন। দেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মাণের যে ঘোষণা শেখ হাসিনা দিয়েছেন, তা তার আগেই বাস্তবায়িত হবে। প্রধানমন্ত্রীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় দেশ এখন উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় অপ্রতিরোধ্য।
করোনা মহামারির মধ্যেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জনপ্রতিনিধিরা দেশসেবায় আত্মনিয়োগ করেছেন, এ জন্য মন্ত্রী সবাইকে ধন্যবাদ জানান।
এ সময়, স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বাংলাদেশ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও মেম্বার কল্যাণ ট্রাস্টে এক কোটি টাকা আর্থিক সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দেন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ও স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মুস্তাকীম বিল্লাহ ফারুকী সভাপতিত্ব করেন।