প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে ভৌগোলিক ব্যবধানের সুযোগ দেশের তরুণ তরুণীদের কাজে লাগাতে হবে। ফ্রিল্যান্সার পেশায় জড়িতদের পরিচয় পত্র প্রদান অনুষ্ঠানে একথা বলেন তিনি।
যুবসমাজের কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে তার সরকার প্রথম মেয়াদ থেকেই নানান পদক্ষেপ নিয়েছে বলেও জানান শেখ হাসিনা। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে বাংলাদেশ পিছিয়ে থাকতে চায় না জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে তরুণ প্রজন্মকে।
ফ্রিল্যান্সার আইডি উদ্বোধন উপলক্ষে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল ভবনে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন। এই আয়োজনে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ডিজিটাল মাধ্যমে সাড়ে ৬ লাখ ফ্রিল্যান্সার এর পরিচয় পত্র বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন তিনি।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৯৬ সালের আগ পর্যন্ত সরকারি অফিসের কোন স্তরেই কম্পিউটারের ব্যবহার ছিল না। সজীব ওয়াজেদ জয়ের পরামর্শই কম্পিউটারের আমদানি শুল্ক প্রত্যাহার করে এই খাতকে উৎসাহিত করা হয়েছে।
ফ্রিল্যান্সিং পেশাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতেই সরকারের এই আয়োজন বলে জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে প্রথম মেয়াদ থেকেই টেলিযোগাযোগ ও গণমাধ্যমসহ বিভিন্ন খাতে মনোপলি ব্যবসার পরিবর্তে বেসরকারি খাত উন্মুক্ত করে দিয়েছে বলে জানান শেখ হাসিনা। আরো কর্মসংস্থান তৈরী করতে সরকার যোগাযোগ ব্যবস্থার সাথে তথ্য প্রযুক্তি খাতের ধারাবাহিক পরিকল্পিত উন্নয়ন করেছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
দেশের তরুণ তরুণীরা প্রচণ্ড মেধাবী এমন তথ্য জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, একটু সুযোগ করে দিলেই তারা তাদের মেধার বিকাশ ঘটাতে পারে।
পৃথিবীর ভৌগোলিক কারণে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে যে সময়ের ব্যবধান তাকে কাজে লাগাতে তরুণদের প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। শেখ হাসিনা বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের জন্য তরুণ-তরুণীদের প্রস্তুত হতে হবে।
সরকার তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ব্যাপক উন্নয়ন করেছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকারি সুযোগ-সুবিধা এখন প্রত্যন্ত গ্রামেও পৌঁছে দিচ্ছে তার সরকার।