জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিসহ ১৩ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এমপির মামলা

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিসহ ১৩ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এমপির মামলা

জনবল নিয়োগে অনিয়ম, দুর্নীতি ও প্রতারণার অভিযোগ এনে গাজীপুর-১ আসনের সরকার দলীয় এমপি আ.ক.ম. মোজাম্মেল হক বাদী হয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিসহ ১৩ শীর্ষ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে জয়দেবপুর থানায় ফৌজদারি মামলা দায়ের করেছেন।

জয়দেবপুর থানা থেকে প্রাপ্ত মামলা নং ১০৮ থেকে প্রাপ্ত তথ্যে এ সংবাদ নিশ্চিত হয়।

এ বিষয়ে জয়দেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান পিপিএম মামলার সত্যতা নিশ্চিত করলেও কোনো মন্তব্য করেননি।

মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, মামলায় মোট ১৩ জনকে বিবাদী করা হয়েছে। তারা হলেন- জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ভিসি অধ্যাপক ডক্টর মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ, প্রোভিসি প্রফেসর ডক্টর তোফায়েল আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক কাজী ফারুক আহমেদ, সাবেক রেজিস্ট্রার ফিরোজ আহমেদ আখতার, প্রক্টর এস এম তাওহীদ জামাল, সহকারী রেজিস্ট্রার সিদ্দিকুর রহমান, উপরেজিস্ট্রার (প্রশাসন) ফাহিমা সুলতানা, সহকারী রেজিস্ট্রার দিলরুবা বেগম, উপপরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. বদরুজ্জামান, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মোল্ল্যা মাহফুজ আল হোসেন, সহকারী রেজিস্ট্রার (বেতন ও কল্যাণ) মো. সাহাব উদ্দিন, সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. মোফাজ্জল হোসেন ও সেকশন অফিসার আবুল হোসেন।

দ-বিধির২১৮/৪০৯/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/৪৭৭(ক)/৪২০/১০৯ ও তৎসহ ১৯৮৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় দায়ের করা মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক)।

প্রসঙ্গত, বর্তমান মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর উল্লিখিত কর্মকর্তাদের উল্লিখিত পদে নিয়োগ দেওয়া হয়।

অনেকদিন থেকে বিগত ৪ দলীয় জোট সরকারের আমলে নিয়োগপ্রাপ্ত ৮০৩ জন কর্মকর্তা-শিক্ষক-কর্মচারীর বিরুদ্ধে ভুয়া বিজ্ঞাপন দিয়ে নিয়োগের অভিযোগ করে আসছিলেন আ.ক.ম. মোজাম্মেল হক, এমপি।

তিনি এ বিষয়ে উচ্চ আদালতে রিট মামলাও করেছিলেন। ওই মামলায় উচ্চ আদালত নালিশি জনবল বাতিলের আদেশ দেন। তারই প্ররিপেক্ষিতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আদালতের আদেশের আলোকে অভিযুক্তদের চাকরি থেকে অব্যাহতি দেয়।

এমতাবস্থায়, রিটের আলোকে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি আইনে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য এ মামলা করা হয়েছে বলে অনেকে ধারণা করছেন

বাংলাদেশ