শনিবার ১ ও ২ নম্বর পিলারে বসানো শুরু হবে সেতুর ৩৮ নম্বর স্প্যান। এক সপ্তাহের ব্যবধানে বসতে যাওয়া এ স্প্যানের মাধ্যমে দৃশ্যমান হবে প্রায় পৌনে ৬ কিলোমিটার সেতু। সবশেষ তিনটি স্প্যান বসবে ডিসেম্বরের মধ্যেই।
৪১ স্প্যানের মধ্যে পদ্মায় এখন দৃশ্যমান ৩৭টি স্প্যান। এর মধ্যে জাজিরা প্রান্তে ২৯টি আর মাওয়া প্রান্তে ৮টি। নতুন স্প্যানটি বসতে যাচ্ছে সেতুর একেবারে শুরুতে অর্থাৎ ১ ও ২ নম্বর পিলারের ওপর।
সবচেয়ে শুরুর স্প্যান হলেও এত দেরিতে বসার কারণ, ইংরেজি ‘এইচ’ বর্ণমালা আকৃতির পদ্মা সেতুর প্রতিটি স্প্যানের ডিজাইন আলাদা। এ স্থানের স্প্যানটির যন্ত্রাংশ চীন থেকে এসেছে অনেক পরে। এ ছাড়া অনান্য পিলারের চেয়ে ১ নম্বর পিলারের গঠন সম্পূর্ণ ভিন্ন। সাধারণত অন্য পিলারগুলোতে ৬ থেকে ৭টি পাইল ব্যবহার করা হলেও শক্তিশালী এ পিলারটিতে ব্যবহার করা হয়েছে ১৬টি পাইল। এ পিলার দিয়েই সেতুতে গাড়ি ও ট্রেন প্রবেশ করবে।
তবে অন্য স্প্যানগুলো পানিতে বসানো হলেও ৩৮তম স্প্যানের একটি পিলার মাওয়া পাড়ে। মাটিতে পিলার থাকার কারণে স্প্যান নিয়ে ক্রেন আসার জন্য নদীর পাড়ের বড় একটি অংশ কেটে ফেলতে হচ্ছে। দিনরাত ২৪ ঘণ্টা ড্রেজার চালিয়ে সরিয়ে ফেলা হচ্ছে মাটি। একটি নির্দিষ্ট দূরত্ব থেকে স্প্যানবাহী ক্রেন কাজ করার জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। ৩৮তম স্প্যানটি বসানোর পর বাকি থাকবে আর মাত্র ৩টি স্প্যান।