বিশ্বব্যাংক বিশ্বরাজনীতি করে, বিশ্ব ষড়যন্ত্রও করে: সুরঞ্জিত

বিশ্বব্যাংক বিশ্বরাজনীতি করে, বিশ্ব ষড়যন্ত্রও করে: সুরঞ্জিত

বিশ্বব্যাংক বিশ্বরাজনীতি করে, বিশ্ব ষড়যন্ত্রও করে বলে মন্তব্য করেছেন দফতরবিহীন মন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত এমপি।

মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে বাংলাদেশ ওলামা লীগের উদ্যোগে আয়োজিত ‘যুদ্ধাপরাধীদের বিচার জনতার প্রত্যাশা’ শীর্ষক আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, “পদ্মাসেতু নিয়ে আল্লাহর ওয়াস্তে বিবেচনা-পুনরায় বিবেচনার হাত থেকে বাঁচান। বিশ্বব্যাংক বিশ্বরাজনীতি করে, বিশ্ব ষড়যন্ত্রও করে। তারা ধোয়া তুলসী পাতা না। সরকারের মেয়াদ যত শেষের দিকে যায়, ষড়যন্ত্র ততো বাড়ে। পদ্মাসেতু নিয়েও তাই ষড়যন্ত্র চলছে। আমাদের বিশ্বাস আমাদের পদ্মাসেতু হবেই হবে।”

প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, “বিশ্বব্যাংক আর দাতারা বারবার বিবেচনা করে। পদ্মাসেতু নিয়ে আল্লাহর ওয়াস্তে বিবেচনা-পুনরায় বিবেচনার হাত থেকে বাঁচান। এই কাজ প্রধানমন্ত্রীকেই করতে হবে। জাতিকে বলতে হবে এখন কি করণীয়। তার নেতৃত্বেই জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে এই সমসার সমাধান করতে হবে। আমলাতান্ত্রিক দোদুল্যমানতা দূর করতে হবে।”

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর এই সদস্য বলেন, “আমরা যদি নয় মাসে দেশ স্বাধীন করতে পারি, সম্রদ্র বিজয় করতে পারি, বিশ্বে চমকপ্রদ অনেক কাজ করতে পারি, বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করতে পারি, এটাও পারবো। পদ্মাসেতু আমাদের করতেই হবে। এর বিকল্প নেই। তাই জাতিকে বুঝিয়ে বলতে হবে। যেভাবেই হোক এই কাজ আমরা করবো।”

প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, “বিশ্বব্যাংকের বিশ্ব রাজনীতি মানলে কি আমাদের স্বাধীনতা আসতো বা যুদ্ধাপরাধীর বিচার করা যেত?”

সাবেক এই রেলমন্ত্রী বলেন, “পদ্মাসেতু গোটা দুয়েক সরকারি কর্মকর্তা ও দু একজন মন্ত্রীর বিষয় নয়। তাই কিছু থাকুক আর না তাকুক কাজ করতে হবে। বিশ্বব্যাংক বা দাতারা যা বলবে তাই করতে হবে এমনটা নয়। আমাদের আর কিছু না থাকুক ১৬ কোটি মানুষ আর ৩২ কোটি হাত আছে। বলতে পারেন প্রযুক্তি, অভিজজ্ঞতা আছে। আমরা যমুনা ও অন্যান্য ব্রিজ করতে পেরেছি। এটাও পারবো।”

ওলামা লীগের সভাপতি মাওলানা ইলিযাস হোসেন বিন হেলালীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, প্রচার সম্পাদক আবদুল হক সবুজ ও ওলামা লীগ নেতৃবৃন্দ।

রাজনীতি