নির্বাচন নিয়ে মতপার্থক্যের কারণে একজন শীর্ষ নির্বাচনী কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নির্বাচনে কারচুপি নিয়ে ট্রাম্পের মতের সঙ্গে অমিল হওয়ায় ওই কর্মকর্তাকে পদচ্যুত করা হলো।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছেন, ভোট নিয়ে ‘খুব ভুল’ তথ্য দেয়ায় সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার সিকিউরিটি এজেন্সির (সিসা) প্রধান ক্রিস ক্রেবসকে ‘চাকরিচ্যুত’ করা হয়েছে।
গত ৩ নভেম্বরের নির্বাচনে সুস্পষ্ট ব্যবধানে হেরে গেলেও এখনো পর্যন্ত পরাজয় স্বীকার করেননি ট্রাম্প। বরং নির্বাচনে ‘ব্যাপক’ কারচুপির অভিযোগ তুলেছেন তিনি। তবে দেশটির নির্বাচনী কর্মকর্তারা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এটাই ছিল ‘সবচেয়ে নিরাপদ’ ভোট।
নির্বাচন নিয়ে গুজব রোধে রিউমার কন্ট্রোল নামে একটি ওয়েবসাইট খুলে হোয়াইট হাউজের তোপের মুখে পড়েন ক্রেবস। এই ওয়েবসাইটে ভুল তথ্য ধরিয়ে দেয়া হতো। যেগুলোর বেশিরভাগ ট্রাম্প নিজেই ফুলিয়ে ফাপিয়ে প্রকাশ করছিলেন।
এর গত সপ্তাহে সিসার অ্যাসিস্টেন্ট ডিরেক্টর ব্রায়ান ওয়্যার তার পদ থেকে সরে দাঁড়ান। হোয়াইট হাউস তাকে পদত্যাগ করতে বলার পর ওয়্যার এমন পদক্ষেপ নেন।
এদিকে বরখাস্ত হওয়ার কিছুক্ষণ আগে একটি টুইট করেন ক্রেবস। সেখানে তিনি ট্রাম্পের ভোট কারচুপির অভিযোগের দিকে আঙুল তোলেন। ট্রাম্পের অভিযোগ যে, বিভিন্ন রাজ্যে তার প্রতিদ্বন্দ্বী জো বাইডেনকে জিতিয়ে দিতে ভোটিং মেশিনের সঙ্গে ব্যালট অদলবদল করা হয়েছে। তবে এমন কিছু ঘটেনি বলে জানান ক্রেবস।