বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্র নাইমুল আবরার রাহাতের মৃত্যুর মামলায় প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমানসহ ৯ জনের বিচার শুরুর সিদ্ধান্ত দিয়েছেন আদালত।
ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক কে এম ইমরুল কায়েশ আজ বৃহস্পতিবার ১০ আসামির মধ্যে ৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরুর জন্য ১৪ ডিসেম্বর তারিখ রেখেছেন।
তবে এ মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত অন্যতম আসামি প্রথম আলোর সহযোগী সম্পাদক ও কিশোর আলোর সম্পাদক আনিসুল হককে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
অভিযুক্ত অন্য আসামিরা হলেন- প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ সহ-সম্পাদক মহিতুল আলম, প্রথম আলোর হেড অব ইভেন্ট অ্যান্ড অ্যাকটিভেশন কবির বকুল, নির্বাহী শাহপরান তুষার ও শুভাশীষ প্রামাণিক, অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ সরবরাহের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট জসীম উদ্দিন, মোশাররফ হোসেন, সুজন ও কামরুল হাওলাদার।
এর আগে গত ১ অক্টোবর মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন আদালত। গত বছরের ৬ নভেম্বর প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন আবরারের বাবা মুজিবুর রহমান।
গত ২০ সেপ্টেম্বর ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিমের আদালত মামলাটি বিচারের জন্য প্রস্তুত হওয়ায় তা বদলির আদেশ দেন। এরপর মহানগর দায়রা জজ আদালতে মামলাটি বদলি হয়ে আসে।
এর আগে নাইমুল আবরার নিহত হওয়ার ঘটনায় কিশোর আলো কর্তৃপক্ষের অবহেলার প্রমাণ পাওয়া গেছে মর্মে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে পুলিশ। মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আব্দুল আলিম এ প্রতিবেদন দাখিল করেন। প্রতিবেদনটি আমলে নিয়ে গত ১৬ জানুয়ারি ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. কায়সারুল ইসলাম তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন।
গত বছরের ১ নভেম্বর বিকালে ঢাকা রেসিডেসিয়াল মডেল কলেজের ক্যাম্পাসে কিশোর আলোর অনুষ্ঠান চলাকালে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যায় নাইমুল আবরার। এ ঘটনায় শুরু থেকেই আয়োজকদের অব্যবস্থাপনাকে দায়ী করে আসছে শিক্ষার্থীরা।