মার্কিন নির্বাচনে নতুন সরকার দায়িত্ব নিলেও বাংলাদেশের পোশাক ব্যবসায়ীরা মনে করছেন তাতে আমদানি রপ্তানি বাণিজ্যে বড় কোন সুফল মিলবে না। রপ্তানিকারকরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতির কারণে শুল্কমুক্ত বাজার কিংবা জিএসপি সুবিধা নিয়েও আশাবাদী নন তারা। অনেকেই বলছেন; এক্ষেত্রে বরং শঙ্কার পাল্লাই ভারী হতে পারে।
নির্বাচনী ডামাডোল এর মধ্য দিয়ে বিশ্বের ক্ষমতাশীল দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন ডেমোক্রেট প্রার্থী জো বাইডেন। ভৌগলিক দুরত্ব থাকলেও দেশটির সাথে বাংলাদেশের আমদানি রপ্তানি বাণিজ্য এবং ব্যবসায়িক সম্পর্কটা বহু পুরনো।
দেশের তৈরি পোশাকের অন্যতম শীর্ষ গন্তব্যস্থল মার্কিন মুলুক। হিসাব বলছে,বিদায়ী বছরে কেবল যুক্তরাষ্ট্রের বাজারেই ৫৯৩ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছিল বাংলাদেশ। আর চলতি বছরের প্রথম ৯ মাসে রপ্তানি হয়েছে ৩৯৫ কোটি ডলারের পোশাক। যদিও এই রপ্তানির বিপরীতে ১৪ থেকে ১৫ শতাংশ শুল্ক গুণতে হয় ব্যবসায়ীদের।
মার্কিন নির্বাচনের মধ্য দিয়ে নেতৃত্বের পালাবদল হলেও দেশটিতে শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা বা জিএসপি ফিরে পাওয়ার মতো বিষয়ে আশাবাদের সুর মিলছে না পোশাক ব্যবসায়ী ও রপ্তানিকারকদের কাছে।
বিজিএমইএ-এর সহ-সভাপতি আরশাদ জামাল বলছেন, বাইডেনের এই জয়ে যে বাংলাদেশ শুল্কমুক্ত সুবিধা পাবে এটা বিশ্বাস করি না। আগেও ছিল না আগামিতেও এমন হবে না।
বিকেএমইএ-এর প্রথম সহ-সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম জানান, মার্কিন নির্বাচনের ফলে বাংলাদেশের আমদানি রপ্তানিতে কোন প্রভাব পড়বে না। কারণ যুক্তরাষ্ট্রে যেই ক্ষমতায় আসুক তাদের পররাষ্ট্র নীতি বদলায় না।
করোনাকালে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলদেশসহ প্রতিযোগীদেশগুলোর পোশাক রপ্তানিও কমে আসছে। চলতি বছরের প্রথম ৯ মাসে দেশটিতে পোশাকের রপ্তানি কমেছে ১৩ শতাংশ। উদ্যোক্তারা জানান, দেশটিতে বাণিজ্য হিস্যা বাড়াতে ব্যবসায়িক সম্পর্ক জোরদার এবং কূটনৈতিক তৎপরতা আরো জোরদার করতে হবে।
চলতি বছরের প্রথম ৯ মাসে ৪ হাজার ৭০২ কোটি ডলারের পোশাক আমদানি করেছে মার্কিন ব্যবসায়ীরা। যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে প্রায় ২৮ শতাংশ কম।