‌‌মুক্তিযুদ্ধের জাতীয় নাট্যোৎসব উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

‌‌মুক্তিযুদ্ধের জাতীয় নাট্যোৎসব উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

‘স্বাধীনতার ৪০ বছর ও শিল্পের আলোয় মুক্তিযুদ্ধ’ এই স্লোগান নিয়ে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমীর জাতীয় নাট্যশালায় শুরু হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের নাট্যো উৎসব। ১২ দিন ব্যাপি এই নাট্যোৎসবে সারা দেশের ১০০ টি মুক্তিযুদ্ধের নাটক মঞ্চস্থ হবে। ০২ জুলাই বিকালে উৎসবের উদ্বোধন করেন মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা।

উৎসব উদ্বোধনের পর শুভেচ্ছা বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় লালিত নাট্যচর্চাকে উৎসাহিত করার জন্য আগামীতে আরো বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। উদ্বোধনী আলোচনায় আরো বক্তব্য রাখেন তথ্য ও সংস্কৃতিমন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ, সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী প্রমোদ মানকিন, সংস্কৃতি মন্ত্রনালয়ের সচিব সুরাইয়া বেগম, ইন্টারন্যাশনাল থিয়েটার ইন্সটিটিউট এর সভাপতি রামেন্দু মজুমদার এবং শিল্পকলা একাডেমীর মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী। উৎসব উদ্বোধনের পর লোক নাট্যদলের পরিবেশনায় মুজিব মানে মুক্তি নাটকটি উপভোগ করেন প্রধান মন্ত্রী।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে শিল্পকলা একাডেমী প্রাঙ্গনকে সাজানো হয়েছে মনোরমভাবে। বিকালে প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা ব্যবস্থাও ছিল অত্যন্ত কঠোর।  উৎসবের উদ্বোধনী পর্ব চলাকালীন সময়ে বহু সুপরিচিত নাট্যকর্মীকেও ঢুকতে দেয়া হয়নি অনুষ্ঠান প্রাঙ্গণে। যেসব নাট্যকর্মীরা জাতীয় নাট্যশালাকে মুখর করে রাখেন বছর জুড়ে তাদেরকে বাদ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী আমলাতান্ত্রিক বৃত্তের ভিতরে থেকেই গতানুগতিক ধারায় উদ্বোধন করলেন ‘মুক্তিযুদ্ধের জাতীয় নাট্যাৎসব’। প্রধানমন্ত্রী উৎসব উদ্বোধন করে চলে যাওয়ার পর শিল্পকলা একাডেমী এলাকা নাট্যকর্মী আর দর্শকদের পদচারনায় মুখরিত হয়ে উঠে।

উৎসবের প্রথম সন্ধ্যায় জাতীয় নাট্যশালার মূল হলে মঞ্চস্থ হয় হবিগঞ্জ শিল্পকলা একাডেমীর নাটক ‘জ্যোতিসংহিতা’, এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হলে মঞ্চস্থ হয় প্রাচ্যনাটের নাটক ‘সার্কাস সার্কাস’, স্টুডিও থিয়েটার হলে মঞ্চস্থ হয় কুমিল্লা সরকারী ভিক্টোরিয়া কলেজের নাটক ‘মুক্তিযুদ্ধ এবং একজন ধীরেন্দ্রনাথ’, মেহেরপুর সরকারী কলেজের নাটক ‘ছয় ডিসেম্বর’এবং ঝিনাইদহ কেশবচন্দ্র মহাবিদ্যালয়ের নাটক ‘রাখাল রাজার স্বপ্ন’। শিল্পকলা একাডেমীর সংগীত ও নৃত্যকলা ভবনে পরিবেশিত হয় ভোলা সরকারী কলেজ ‘বীরপালা রাজশাহী সরকারী কলেজ ‘মুক্তির প্রতিভাস’ ও ফরিদপুর সরকারী কলেজের নাটক ‘বিজয়ের প্রান্তে’।

উৎসবের ২য় দিন ৪ জুলাই বুধবার মঞ্চস্থ হবে থিয়েটার আর্ট ইউনিটের নাটক ‘কোর্ট মার্শাল’, শেরপুর সরাকারী কলেজের নাটক ‘সেক্টর ১১: ব্যাঘ্র আক্রমন’ বগুড়া সরকারী কলেজের নাটক ‘বাবুর পুকুরে গণহত্যা’, মাদারী সরকারী কলেজ ‘একটাই চাওয়া’ পরিবেশন করবে।

স্বাধীনতার ৪০ বছর উদযাপন উপলক্ষে শিল্পকলা একাডেমীর তত্ত্বাবধানে কলেজ পর্যায়ে মুক্তিযুদ্ধের নাটক নির্মাণ করা হয়। মুক্তিযুদ্ধের নাট্যাৎসবে বিভিন্ন কলেজের ছাত্র-ছাত্রীর তাদের নাটক পরিবেশন করছে। উৎসবে সহযোগিতা করছে বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশান।

বাংলাদেশ বিনোদন