‘আনলাকি থার্টিন’-এর সঙ্গে আমরা সবাই পরিচিত। কিন্তু ‘থার্টি থ্রি’ সংখ্যাটিও যে কারো জন্য আনলকি হতে পারে, তার টের পাচ্ছেন হলিউড সুপারস্টার টম ক্রুজ।
হ্যান্ডসাম এই সুপারস্টার অনেক মেয়ের সঙ্গেই সম্পর্কে জড়িয়েছেন। তাদের মধ্যে বিয়ে করেছেন মাত্র তিনজনকে। অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি হলো টম ক্রুজের এই তিনজন জীবনসঙ্গিনী যখন তার জীবন খেকে চলে গেছে, তখন তাদের প্রত্যেকের বয়সই ছিল ৩৩!
টম ক্রুজ ১৯৮৭ সালের মে মাসে মিমি রগারসকে বিয়ে করেছিলেন তখন তার বয়স ছিল ৩১। ১৯৯০ সালে তাদের যখন ডিভোর্স হয়, তখন মিমির বয়স ছিল ৩৩।
এরপর টমক্রুজ গাঁটছড়া বাঁধেন নিকোল কিডম্যানের সঙ্গে। হাসি-আনন্দে তারা দুজন পার করে দেন দশটি বছর। কিন্তু বিপত্তি বাঁধায় ‘আনলাকি থার্টি থ্রি’। ২০০১ সালে তাদের মধ্যকার দাম্পত্য সম্পর্ক যখন ভেঙে যায়, সে সময় নিকোল কিডম্যানের বয়স ছিল ৩৩।
সর্বশেষ এই সুপারস্টার কেটি হোমসকে বিয়ে করেছিলেন ২০০৬ সালে। সেসময় কেটি হোমসের বয়স ছিল ২৮ বছর। কিছুদিন আগে তাদের দাম্পত্য জীবনে ভাঙন দেখা দেখা দেয়। ডিভোর্সের প্রক্রিয়াও এখন অনেকটা চুড়ান্ত। আশ্চর্যের ব্যাপার হলো, বর্তমানে কেটি হোমসের বয়স ৩৩।
আরেকটি অবাক করার ব্যাপার হলো যে, টম ক্রুজের দাম্পত্য জীবনে ভাঙন দেখা দেয় যখন তার জীবনসঙ্গী ৩৩ বছর বয়সে পদার্পন করেন এবং ডিভোর্সের চূড়ান্ত প্রক্রিয়া শেষ হয় যখন তারা ৩৪ বছর বয়সে পা রাখেন।
মানুষের জীবনে কোন কিছু একবার অথবা দুইবার ঘটে। কিন্তু টম ক্রুজের বেলায় তিন তিন বার একই ঘটনা ঘটলো। তাই হলিউডে শুভাকাঙ্খীদের অনেকেই টম ক্রুজকে আনলাকি ‘থার্টি থ্রি’ নিয়ে ভাবতে পরামর্শ দিয়েছেন।
ভবিষ্যতে টম ক্রুজ যদি নতুন কাউকে স্ত্রী হিসেবে গ্রহণ করেন, তাহলে অবশ্য তাকে আগেই আনলাকি ‘থার্টি থ্রি’-এর ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। নয়ত এমন কাউকে জীবন সঙ্গী করতে হবে যার বয়স ৩৩ এর বেশি।