ফ্রান্সে করোনাভাইরাসের থাবা কোনোভাবেই থামানো যাচ্ছে না। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে ক্রমান্বয়ে বাড়ছেই আক্রান্তের সংখ্যা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ইতোমধ্যে দেশটিতে দ্বিতীয়বারের মতো লকডাউনও দেয়া হয়েছে। কিন্তু এতেও যেন কাজ হচ্ছে না। দিনের পর দিন সংখ্যা উপরের দিকেই ধাবিত হচ্ছে।
গত এপ্রিলের পরে ফ্রান্সে কোভিড সংক্রান্ত মৃত্যুর হার এখন সবচেয়ে বেশি। শুক্রবার ২৪ ঘণ্টায় ফ্রান্সে ৮২৮ জন লোক করোনায় মারা যান। এই ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ৬০ হাজার ৪৮৬ জন মানুষ।
গেল সপ্তাহে প্রায় প্রতিদিনই আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৫০ হাজারের কাছাকাছি। প্যারিসে হাসপাতালের জরুরি আসনের ৭০ শতাংশ আসনে বর্তমানে কোভিড রোগীরা রয়েছেন।
গেল ৩১ অক্টোবর থেকে ফ্রান্সে দ্বিতীয়বারের মতো লকডাউন ঘোষণা দেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রঁ।
এ সময় তিনি বলেছিলেন, ‘ফ্রান্স দ্বিতীয় দফা সংক্রমণ ছড়ানোর ঝুঁকির মধ্যে আছে, যা নিশ্চিতভাবে প্রথম দফার চেয়ে গুরুতর’ হবে।
লকডাউন দেয়ার পরও পরিস্থিতির কোনো উন্নতি না হওয়ায় শুক্রবার থেকে প্যারিসে রাত ১০টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত কারফিউ ঘোষণা করা হয়েছে। এ সময় সকল ধরনের খাবার ও মদ বিক্রি বন্ধ থাকবে। ঘোষণা অনুযায়ী আগামী পয়লা ডিসেম্বর এই লকডাউন শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
এদিকে লকডাউন কিংবা কারফিউ, কোনোকিছুই যেন মানতে নারাজ ফরাসীরা। পুলিশের নজরদারিও কম হওয়ায় অনলাইন থেকে খুব সহজে একটি প্রত্যয়ন ডাউনলোড করে যে কোনো একটি কারণ দেখিয়েই বেরিয়ে পড়ছেন তারা। ফলে রাস্তাঘাটে এখনও বিপুল সংখ্যক গাড়ি চলাচল এবং মানুষ চলাচল অব্যাহত রয়েছে।
ফ্রান্সে এ পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়ে ৩৯ হাজার ৮৬৫ জন লোক মারা গেছেন। স্বাস্থ্য বিভাগের রিপোর্ট অনুযায়ী এই মুহূর্তে ৪ হাজার ৩৩১ জন সিরিয়াস রোগী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।